মঙ্গলবার অতিবৃষ্টিতে জলের তলায় ভেসেছে কলকাতা। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। রাজ্য সরকার, সিইএসসি ও কলকাতা পৌরসভার অপদার্থতা বেয়াব্রু হয়েছে। জমা জলে প্রাণ গেছে সহনাগরিকদের কিন্তু দায় ঠেলতে ব্যস্ত প্রশাসন ও মুখ্যমন্ত্রী। মৃতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন মমতা ব্যানার্জি।
তিনি জানিয়েছেন, "যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারকে রাজ্য সরকারের তরফে দু'লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। প্রয়োজনে পরিবারের কাউকে হোম গার্ডের চাকরিও দেওয়া হবে। আমি সিইএসসি-কে বলেছি প্রত্যেক পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে দিতে।"
একের পর এক ঘটনায় দেখা গিয়েছে দায় সরকারের কর্পোরেশনের। সেই সঙ্গে দায় রয়েছে সিইএসসিও। এদিন কলকাতায় ধর্মতলা থেকে কলেজস্ট্রিট অভিমুখে বামপন্থীদের মিছিলে দাবি তোলা হয় পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ, সেই সঙ্গে পুনর্বাসন ও ত্রাণের ব্যবস্থা করতে হবে।
সুজন চক্রবর্তী যেদিন নথি তুলে দেখিয়েছেন কলকাতার স্ট্রিট লাইট, ল্যাম্পপোস্ট এইসব রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কলকাতা কর্পোরেশনের। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ কী করে সেই সঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্য সরকারের নজরদারির কাঠামো নিয়েও। এদিন বামপন্থীদের মিছিলে সিআইটিইউ রাজ্য সভাপতি অনাদি সাহু বলেছেন, "কর্পোরেশন, রাজ্য সরকারের পাশাপাশি দায় রয়েছে সিইএসসিরও। সিইএসসি স্থায়ী শ্রমিকদের নিয়োগ না করে লাগাতার চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক দিয়ে কাজ করছে। মোট শ্রমিকের সংখ্যাও কমিয়ে দিয়েছে। তারই মর্মান্তিক পরিনাম দেখছে কলকাতা। অবহেলার দায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা কলকাতায় এই প্রথম না, বারেবারেই ঘটছে। দায় কেউ এড়াতে পারবেন না।"
                                        
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
Comments :0