মনোজ আচার্য
ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও কলকাতা জুড়ে টানা জলমগ্নতায় নাজেহাল শহরবাসী। সিইএসসি ও কর্পোরেশনের অবহেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একদিনে মৃত ১০জন। কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতার বিরুদ্ধে এবং মৃতদের পরিবারের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবিতে বুধবার বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে বামপন্থী দলগুলি।
বিকেল ৪টেয় ধর্মতলা লেনিনমূর্তি থেকে শুরু হয়ে কলেজ স্কোয়ার যাবে মিছিল।
কলকাতায় বৃষ্টিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একাধিক মৃত্যু গত কয়েক বছরে বারবার হয়েছে। দায় এড়াতে তৃণমূল সরকার সিইএসসি’র ওপর দোষ চাপালেও কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়নি।
জলমগ্ন কলকাতা উৎসবের মরশুমে রুজিরুটির বন্দোবস্তকে কার্যত তছনছ করে দিয়েছে। দুশ্চিন্তায় মাথায় হাত পড়েছে কলকাতায় হকারি করে দিন গুজরান করা হাজার হাজার মানুষের। এমনিতেই গরিব, মধ্যবিত্ত, প্রান্তিক মানুষের আর্থিক সংকটের কারণে সেভাবে এ'বছর বিক্রিবাট্টা হচ্ছিলো না।। এরমধ্যে সোমবার রাতের কয়েক ঘন্টার ভারী বৃষ্টিতে রুজিরূটিতে চরম ধাক্কা লাগায় কার্যত দিশেহারা ফুটপাতে হকারি করে দিনগুজরান করা ও ছোট খাটো দোকান চালিয়ে উপার্জনের বন্দোবস্ত করা হাজার হাজার মানুষ। কোথাও হাঁটু সমান, কোথাও কোমরসমান জল মঙ্গলবার দিনভর দেখা গেছে গড়িয়াহাট, হাতিবাগান, বেহালা, বালিগঞ্জ সহ কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির জমাজলে জেরবার দশা। পুজোর ঢাকে কাঠি পড়েছে। মহালয়ার পর দিনকতক বাজার ওঠার আশায় ছিলেন হকার ও ছোট দোকানীরা। কিন্তু সে আশায় জল ঢেলে দিয়েছে এই জলমগ্ন পরিস্থিতি। কলেজস্ট্রিট এলাকায় বই ব্যবসায়ী থেকে দোকানীদেরও খুবই করুণ অবস্থা। কোমরসমান জল, বইয়ের স্টল জলের তলায়। জলে ভিজে নষ্ট হয়েছে বইপত্র থেকে ব্যবসায়িক সরঞ্জাম। এদিন বিকালে কলেজ স্ট্রিট চত্বরে গিয়ে বই ব্যববায়ীদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন এসএফআই রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে।
উৎসবের মরশুমে কলকাতা কর্পোরেশনের কাছে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবি তুলেছে সিপিআই(এম)।
Comments :0