GANGA PADMA EROSION

দেখা নেই বিধায়ক সাংসদদের, ভাঙনে বিপন্ন মানুষদের পাশে আভাস-মীনাক্ষী

জেলা

অনির্বাণ দে

উৎসবে মেতেছে রাজ্য সরকার। নজর নেই মুর্শিদাবাদের গঙ্গা-পদ্মা ভাঙনে বিপন্ন গ্রামবাসীদের দিকে। ভাঙনে সর্বসবান্ত মানুষের সঙ্গে কথা বললেন সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ। সিপিআই(এম) নেতৃত্বদের কাছে পেয়ে যন্ত্রনার কথা তুলে ধরেছেন স্থানীয়রা। দাবি জানিয়েছেন, ভাঙন রোধে স্থায়ী কাজ করতে হবে। জানিয়েছেন, তৃণমূলের নেতারা আসছেন এবং প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলে যাচ্ছেন। সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ বলেছেন, তৃণমূলের প্রতিশ্রুতি মানেই মিথ্যা। লড়াই করেই নিজেদের অধিকার বুঝে নিতে হবে। সময় থাকতে ভাঙন মোকাবিলার কাজ কেন শুরু হয়নি ? উঠেছে প্রশ্নও।

এদিন মীনাক্ষী মুখার্জিকে কাছে পেয়ে নিজেদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেছেন ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া মহিলারা। তারানগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন ৭০ টি পরিবার। সকলে মিলে থাকছেন একটা প্রাইমারি স্কুলেই। ওই স্কুলে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মিনাক্ষী মুখার্জি বলেছেন, "সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়েই নিজেদের অধিকার আদায় করে নিতে হবে।"

সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মিনাক্ষী মুখার্জি বলেন, "ভাঙন রোধে বরাদ্দ টাকার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। যারা নিজেরা বাড়িঘর ভেঙে নিচ্ছেন তাঁরা নিজেদের টাকাতেই আসবাব থেকে ইট সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সেই দায়িত্ব বিডিওকে নিতে হবে। তৃণমূল বলার চেষ্টা করছে এখানে সিপিআই(এম) এবং কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সমিতি থাকায় কাজ হচ্ছে না। কেন এই কথা তৃণমূল নেতারা বলছেন সেই জবাবও দিতে হবে। সিপিআই(এম) কর্মীরা সব ভাঙন দুর্গতদের জন্য সব কিছু করতে প্রস্তুত।"

ভাঙন দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলে সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আভাস রায়চৌধুরী বলেছেন, "মানুষ কষ্টে আছেন। যন্ত্রনায় আছেন। যারা দায়িত্বে আছেন তাঁরা কিছু করছে না। রাজ্য দিল্লি দেখাচ্ছেন, দিল্লি রাজ্যের দিকে আঙুল তুলছে। এটা চলবে না। দাবি আদায় করে নিতে হবে।"

এদিন ছিলেন সিপিআই(এম) জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা সহ নেতৃবৃন্দ। প্রথমে তারানগরে যান সিপিআই(এম) নেতারা। সেখানে ভাঙনের ভয়ঙ্কর অবস্থা দেখার পর যান তারানগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এরপর সেখান থেকে রাধাকৃষ্ণপুরে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেছেন নেতারা। গ্রামবাসীরা বলেছেন, স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতি ত্রাণে উদ্যোগ নিলেও এলাকার বিধায়ক, সাংসদদের কোনও উদ্যোগ নেই। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার ভাঙন দেখতে এসে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন তৃণমূলের মন্ত্রী থেকে বিধায়ক, সাংসদ। গ্রামবাসীদের আশংকা, ভাঙন মোকাবিলায় বরাদ্দ অর্থ লুট হয়ে যেতে পারে। সিপিআই(এম) এর পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে, ভাঙন দুর্গত সব পরিবারের ক্ষতিপূরণ ও পনুর্বাসনের দায়িত্ব রাজ্য সরকারকে নিতে হবে।  
 

Comments :0

Login to leave a comment