মালদহে গঙ্গার ভাঙনের ফলে মানিকচক ব্লকের গোপালপুর অঞ্চলের মানুষ ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন। এবার ভুতনী এলাকার রতুয়া-১ ব্লকের অন্তর্গত বিলাইমারি অঞ্চলের মানুষও ভাঙনের আতঙ্কে পড়েছেন। এই এলাকা পশ্চিম রতনপুর নামে পরিচিত।
গঙ্গা ও ফুলহর নদীর মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া কোশী নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে রতনপুর। আতঙ্কে ১৩টি পরিবার তাঁদের বাড়ি থেকে সরে যাচ্ছেন। খবর পেয়ে এলাকায় যান সিপিআই(এম) নেতা দেবজ্যোতি সিনহা সহ এলাকার পার্টির নেতৃবৃন্দ।
গ্রামবাসীরা সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দকে জানিয়েছেন যে আপাতত বাস অন্যত্র নিলেও ভবিষ্যৎ কী হবে জানেন না। গ্রামবাসী ফুলবাসিয়া মন্ডল, শকুন্তলা চৌধুরী, সুগ্রীব চৌধুরী বলেছেন সরকার তাঁদের জন্য বিকল্প স্থায়ী বাসস্থানের জন্য কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না।
দেবজ্যোতি সিনহা বলেন বিডিও এবং সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা এসেছিলেন। এসেছিলেন বিলাইমারির উপপ্রধান রামলাল চৌধুরীও। তাঁরাও গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। নতুন করে বাঁধ নির্মাণের জন্য জমি দেওয়া হলেও কোনও অর্থ রাজ্য সরকার বরাদ্দ করেনি।
দেবজ্যোতি সিনহার ক্ষোভ, ‘‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বলছেন যে ওদের কে বলেছে নদীর ধারে ঘর করতে। আর্ত মানুষের ঘাড়ে দোষ চাপানোয় প্রশাসন ও সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের উদাসীনতা আরও বেড়েছে।’’
সিপিআই(এম)’র দাবি, বিপন্নদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা করতে হবে। জেলা শাসককে উদ্যোগ নিতে হবে।
আরেকদিকে জেলার মানিকচক ব্লকের গোপালপুর অঞ্চলে গঙ্গার ভাঙন অব্যাহত। ১৯৯৫ সালে নির্মিত বাঁধ যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে যেতে পারে। এই বাঁধ ভেঙে গেলে উত্তর ও দক্ষিণ হুকমতটোলা, ঈশ্বর টোলা, কামলতিপুর গ্রামের মানুষ বন্যার কবলে পড়বে। প্রায় পাঁচ শত বাড়ি ভাঙনের কবলে পড়বে।
পার্শ্ববর্তী ইংরেজবাজার ব্লক এলাকা মিল্কির ভবানীপুর এলাকায় অস্থায়ী আবাসন গড়ে আশ্রয় নিচ্ছেন গোপালপুরের মানুষ। ভাঙন কবলিত এই এলাকাতেও গিয়েছিলেন দেবজ্যোতি সিনহা, শ্রীনিবাস মন্ডল, বিশু সেখ, জহুর সেখ, ইউসুফ সেখ।
বিস্তীর্ণ অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হলেও বিকল্প বাঁধ আছে। ১৯৯৯ সালে বামফ্রন্ট সরকার তৈরি করেছিল। কিন্তু রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের পর খেলা, মেলা, উৎসবে প্রভূত অর্থ ব্যয় করলেও বন্যা ও ভাঙন রোধে কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
Comments :0