MD SALIM

জীবিকার সঙ্কট আড়াল করতে ধর্মের সুড়সুড়ি ভোটে: সেলিম

রাজ্য

ছবি সংগ্রহ থেকে।

প্রধানমন্ত্রী বলছেন যে পাঁচশো বছর পর এই প্রথম দীপাবলিতে ঘর পেলেন রামচন্দ্র। আর এ রাজ্যে সাংসদ মসজিদে গিয়ে ভোটের প্রচার করছেন, বিধায়ক মন্দিরে গিয়ে ভোটের প্রচারে কীর্তনে যোগ দিচ্ছেন। মানুষের জীবন যন্ত্রণার বিষয় আড়াল করতে ধর্মকে নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে।
মঙ্গলবার কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলনে এই মর্মে সরব হয়েছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এদিন মুজফ্‌ফর আহ্‌মদ ভবনে তিনি জানিয়েছেন, গণপরিবহণের তীব্র সঙ্কট, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের চড়া দাম নিয়ে আন্দোলন জারি রাখছে সিপিআই(এম)। 
সেলিম বলেছেন যে নির্বাচনে বিষয় হওয়া উচিত মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জিনিসের দাম, কাজ, রোজগারের মতো জনতার প্রতিদিনের বেঁচে থাকার মতো বিষয়। তার বদলে কেন্দ্রের বিজেপি এবং রাজ্যের তৃণমূল ধর্মের সুড়সুড়ি দিতে নামছে প্রতিটি নির্বাচনে। তিনি বলেছেন যে ২০২০’র মধ্যে সব নাগরিককে ঘর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এখন সেসব বাদ দিয়ে ভগবানকে ঘর দেওয়ারর প্রচার করছেন। 
উপনির্বাচন প্রসঙ্গে সেলিম বলেছেন যে এ রাজ্যে বারবার ভোট দেওয়ার গণতান্ত্রিক অধিকার আক্রমণের মুখে পড়ছে। মুখ্যমন্ত্রী পুজো উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে প্রতিটি ভোটই তৃণমূলের পক্ষে আসার কথা বলছেন। এটিই স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব। 
উপনির্বাচন প্রসঙ্গে সেলিম বলেন, নির্বাচন কমিশনের মর্যাদা গুরুতর মাত্রায় ক্ষুণ্ণ হয়েছে রাজ্যে। কারণ বহু মানুষ নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। আশা করব, উপনির্বাচনে সেই সম্মান ফেরানোর চেষ্টা করবে কমিশন। সুষ্ঠু মতদান নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে। 
পাশাপাশি, সদ্য রাজ্য ঘুরে যাওয়া কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্যের সমালোচনা করেন সেলিম। রাজ্যে ২০২৬’র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি দুই-তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতা পাবে বলে দাবি করেছেন শাহ। সেলিম বলেছেন, এভাবেই প্রতিবার যেন রানরেট বেঁধে দেওয়া হচ্ছে।    
১৩ নভেম্বর রাজ্যের ৬ কেন্দ্রে উপনির্বাচন। কংগ্রেসের সঙ্গে এই পর্বে আসন সমঝোতা না হওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। সেলিম বলেন, এ রাজ্যে কংগ্রেসের সভাপতি পরিবর্তন করা হয়েছে। একটি আসনে কংগ্রেসকে সমর্থন জানানোর সুযোগ থাকলেও কথা শুরু হতে দেরি হয়ে যায়। বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুর সঙ্গে কথা হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেসের নতুন সভাপতি। ভুল বোঝাবুঝির কোনও জায়গা নেই।
এ সংক্রান্ত আরেকটি প্রশ্নে তিনি বলেন, রাজ্যে বামপন্থীদের ফ্রন্ট বা জোট একটিই, তা হলো বামফ্রন্ট। এর বাইরে অন্য দলগুলির সঙ্গে নির্বাচনী আসন সমঝোতা হয়। যেমন কংগ্রেসের সঙ্গে গত কয়েকবার হয়েছে। এবার উপনির্বাচনে আইএসএফ-কে সমর্থন করা হয়েছে একটি কেন্দ্রে। আবার বামফ্রন্টের বাইরে বামপন্থী দল সিপিআই(এমএল)-কে সমর্থন করা হয়েছে নৈহাটিতে।

Comments :0

Login to leave a comment