দুর্নীতি থেকে মুক্ত করা হবে বাংলাকে। অনুপ্রবেশ মুক্ত করা হবে বাংলাকে। বিজেপি-কে সে জন্য বসাতে হবে সরকারে। শিক্ষা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তৃণমূলের পার্থ চ্যাটার্জি সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেয়েছেন সদ্যই। তদন্তে ঢিলেমি দিয়েছে কেন্দ্রের সিবিআই। আর তার পরপরই, শুক্রবার, দমদমে, জনসভা করে এমনই প্রতিশ্রুতি দিলেন বিজেপি নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সরকারি সূচি অনুযায়ী মোদীর কাজ ছিল মেট্রোর তিনটি লাইনের বিভিন্ন অংশের উদ্বোধন করা। সরকার মঞ্চ থকেই বিজেপি’র জনসভার প্রচার করে দেন তিনি। তার মধ্যে হাওড়া-সল্টলেক জুড়ে দেওয়ার প্রকল্প ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছিল পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকার এবং বামপন্থী সাংসদদের তদ্বিরে।
মালদহের আমির শেখ সব নথি দেখানোর পরও তাঁকে ঠেলে পাঠানো হয়েছিল বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে। এদেশে তাঁদের পরিবারের জমির নথিতে সময়ের উল্লেখ প্রায় একশো বছর আগের। রাজস্থানে মোদীরই দলের সরকার আমিরকে ‘ঘুষপেটিয়া’ বলেছে। উল্লেখ্য, অনুপ্রবেশ ঠেকানোর দায়িত্ব রাজ্যের পাশাপাশি কেন্দ্রেরও।
গুরগাঁওয়ে মহল্লা খালি করে দিয়েছে হরিয়ানার বিজেপি সরকার। অথচ আধার, ভোটার কার্ড রয়েছে প্রায় প্রত্যেকের। মুসলিম এবং বাংলাভাষী হলেই অনুপ্রবেশকারী বলা হয়েছে। এখন মোদীরই ইশারায় আধারকে বৈধ মানতে আপত্তি করছে নির্বাচন কমিশন। শুক্রবারও সুপ্রিম কোর্ট কড়া করে আধারকে বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছে বিহারের ‘এসআইআর’ প্রক্রিয়ায়। সেই মোদী স্বাধীনতা দিবসে তাঁর ভাষণের তীব্র বিতর্কিত সেই ‘ডেমোগ্রাফিক মিশন’ বা জনবিন্যাস বদলে অনুপ্রবেশকারীদের মতলব ঠেকানোর ডাক দিয়েছেন।
দমদমে, যে এলাকায় দেশভাগের সময় উদ্বাস্তু বহু পরিবারের বাস, সেখানে মোদী এদিন ভাষণ দিয়েছেন বিজেপি’র ‘পরিবর্তন সংকল্প’ সভায়। রাজ্যে এসআইআর চালুর বন্দোবস্ত শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। বিহারে যে প্রক্রিয়ায় বাদ পড়েছে ৬৫ লক্ষ নাম। কমিশন জানায়নি বিহারের খসড়া তালিকায় বাদ পড়া নামের কত রোহিঙ্গা বা বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। কিন্তু মুসলিম সংখ্যালঘুদের অনুপ্রবেশকারী দেগে দিয়ে দেশ থেকে ‘ভাগানোর’ স্লোগান আরএসএস’র ধ্রুপদী কায়দায় এদিন দিয়ে গিয়েছেন মোদী।
মোদী সরকারের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে চলা দিল্লি পুলিশ বাংলাকে ‘বাংলাদেশি ভাষা’ চিহ্নিত করেছে। তীব্র প্রতিবাদের মুখে পড়েছেন মোদী, পড়েছে বিজেপি। মোদী বাংলাকে ‘চিরায়ত ভাষা’ হিসেবে স্বীকৃতির কৃতিত্ব চেয়েছেন সমাবেশে।
ভাষণে টেনেছেন সংসদে পেশ প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী অপরসারণ বিলের প্রসঙ্গ। দুর্নীতি দমনের লক্ষ্য জানিয়েছেন। অথচ সারদা, নারদ থেকে শিক্ষায় নিয়োগ কেলেঙ্কারির মতো গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা জেলের বাইরে। ‘কালীঘাটের কাকু’ এবং তাঁর কন্ঠস্বর নিয়ে মুখ খুলছে না বিজেপি। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জিকে ‘অপারেশন সিন্দুর’-র পর বার্তা দিতে জাপানে পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
Modi Rally Dumdum
পার্থের জামিনের পরপরই দমদমে দুর্নীতি দমনের ভাষণ মোদীর, সঙ্গে অনুপ্রবেশও

×
Comments :0