Modi ASEAN

আসিয়ানে ট্রাম্পকে এড়াচ্ছেন মোদী, অনুগত-অবনত, বলল সিপিআই(এম)

জাতীয়

আসিয়ান শীর্ষ বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দশ দেশের জোটের এই বৈঠকে ভারতকে নেতৃত্ব দেবেন বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এড়াতেই মোদীর এই সিদ্ধান্ত কিনা, তা নিয়ে চলছে চর্চা।
চলতি অক্টোবরের শেষে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে আসিয়ানের শীর্ষ বৈঠক। ‘অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ এশিয়ান নেশনস’ বা আসিয়ানের বৈঠকে আসবেন ট্রাম্প। কোনও কোনও অংশের অনুমান ছিল একাধিক বিতর্কের মধ্যে মোদী আলাদা বৈঠক করতে পারেন ট্রাম্পের সঙ্গে। বৃহস্পতিবারই প্রকাশিত সংবাদে দেখা গিয়েছে রাশিয়ার তেল আমদানি এবার একেবারে কমাতে নেমেছে ভারত। সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটি সোশাল মিডিয়া পোস্টে বলেছে, ট্রাম্পের শাসনির সামনে একেবারে নুইয়ে পড়েছেন মোদী। আমেরিকার একেবারে অনুগত অবনত। 
গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে প্রবাসী ভারতীয়দের সভায় ট্রাম্পের মন্তব্যে ফের প্রশ্নের মুখে পড়েছেন নরেন্দ্র মোদী। সভায় যোগ দিয়েছিলেন ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীরাও। 
ট্রাম্প ওই সভাতেই দাবি করেন যে মোদীর সঙ্গে টেলিফোনে তাঁর কথা হয়েছে। রাশিয়ার তেল আমদানি, ভারত-মার্কিন বাণিজ্য সম্পর্ক এবং পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ নিয়ে হয়েছে আলোচনা। আরও বলেন যে মোদী তাঁকে কথা দিয়েছেন রাশিয়ার থেকে তেল আমদানি বন্ধ করছে ভারত।
আমেরিকা এর মধ্যেই রাশিয়ার থেকে তেল আমদানির জন্য ভারতের ওপর বাড়তি ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা জানাচ্ছে ভারতও দ্রুত রাশিয়ার থেকে তেল আমদানি কমানোর দিকে হাঁটছে। আমেরিকার চাপে যদিও গত বেশ কয়েকমাসে রাশিয়ার থেকে কমদামে তেল কেনা কমিয়েছে ভারত। 
ট্রাম্পের ওই মন্তব্যের পর ভারত জানিয়েছিল যে ‘এমন কোনও ফোনালাপ হয়নি’। 
মোদী নিজে সোশাল মিডিয়ায় কুয়ালালামপুরে না যওায়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে বলেছেন যে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে হার্দিক বাক্যালাপ হয়েছে তাঁর। 
মোদী সরকারের কোনও কোনও সূত্রে উল্লেখ করে সংবাদমাধ্যমের একাংশ দাবি করেছে যে বিহারে নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন বলে মোদী যাচ্ছেন না কুয়ালালামপুর।
মোদীর সিদ্ধান্তে প্রশ্ন রয়েছে ভারতে। আমেরিকা সমানে হুমকি দিচ্ছে এবং ভারত তা মেনেও নিচ্ছে। ট্রাম্প বারবার দাবি করে চলেছেন যে তাঁর হুমকিতে ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি হয়েছে। ভারত তা অস্বীকার করলেও ট্রাম্পের নিন্দা করেনি। রাশিয়ার তেল কেনা নিয়ে ট্রাম্পের বক্তব্যের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও কোনও ঘটনাতেই কূটনৈতিক স্তরে আপত্তি জানাচ্ছে না ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। তা’হলে ট্রাম্পকে সরাসরি অমত জানানোর সুযোগ হাতছাড়া কেন করলেন মোদী। 
ভারতের তরফে বলা হয়েছে দিওয়ালির জন্য নাকি মোদী যাবেন না। অক্টোবরের শেষে দিওয়ালি কোথায় পালন করা হবে, উঠেছে সে প্রশ্নও। 
বিভিন্ন অংশের মত, ট্রাম্পের মুখের ওপর আপত্তি জানানোর সাহস নেই মোদীর। আসিয়ান এড়াচ্ছেন সে কারণেই। কংগ্রেসও বলেছে, ‘নরেন্দর-সারেন্ডর হো গ্যয়া’।

Comments :0

Login to leave a comment