বিহারের ‘মহাগাটবন্ধন’এর মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। বৃহস্পতিবার মহাগাটবন্ধন নেতৃত্বের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে তেজস্বীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলট তার নাম ঘোষণা করেন।
গেহলট বলেন, ‘মহাগাটবন্ধ একজন কম বয়সী এবং তাজা নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে বেছে নিয়েছে।’ তিনি জানিয়েছেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হচ্ছেন বিকাশশীল ইনসান পার্টির নেতা মুকেশ সাহানি। বিজেপিকে নিশানা করে কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘অমিত শাহকে প্রশ্ন করতে চাই আমরা আমাদের জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছি এবার তারা জানাক তাদের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন।’ উল্লেখ্য অমিত শাহ একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন বিহারে এনডিএ নীতিশের নেতৃত্বেই লড়বে। কিন্তু তিনিই যে মুখ্যমন্ত্রী মুখ তা স্পষ্ট করেননি।
মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে তাকে বেছে নেওয়ার জন্য বিহারের মহাগাটবন্ধনের সব দলকে ধন্যবাদ জানান তেজস্বী যাদব। অশোক গেহলটের সুরে সুর মিলিয়ে নীতিশকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘নীতিশ কুমারের নাম মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে ঘোষণা না করে অমিত শাহ পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে এটাই নীতিশ কুমারের শেষ নির্বাচন।’
বিহারে আসন সমঝোতা নিয়ে কংগ্রেস এবংআরজেডির মধ্যে মাঝে একটু সমস্যা হলেও এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে বিরোধী ঐক্য প্রমাণ করে দিয়েছে যে বিজেপিকে বিহারের পরাস্ত করার জন্য তারা তৈরি। অশোক গেহলট জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী নিজেও তেজস্বীর নাম মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে প্রস্তাব করেছেন।
গতকাল সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক এমএ বেবি একটি ভিডিও বার্তায় বলেন, কর্মসংস্থানের দাবিকে সামনে রেখে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে মহাগাটবন্ধনের প্রার্থীরা। বুধবার একটি ভিডিও বার্তায় এমনই বললেন সিপিআই(এম)'র সাধারণ সম্পাদক এমএ বেবি।
বেবি বলেন, "গোটা দেশের মতো বিহারেও বেকারত্বের সমস্যা গুরুতর। সাধারণ মানুষের জনজীবনের অন্যান্য যে সমস্যাগুলি রয়েছে তার মধ্যে প্রধান হচ্ছে বেকারত্ব। বিহারের যুবক যুবতীদের হাতে কাজ নেই। আরজেডির নেতৃত্বে বাম গনতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির যেই জোট সেই জোট বিহারের যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থানের দাবিকে সামনে রেখে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।"
তিনি আরও বলেন, বিহারের মানুষ এবারের নির্বাচনে এই জোটকে সমর্থন করবে। বিহারের নির্বাচন থেকেই গোটা দেশে বিজেপির হার শুরু হবে।
উল্লেখ্য ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে, আরজেডি ১৪৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৭৫টি জিতেছিল এবং কংগ্রেস ৭০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মাত্র ১৯টি জিতেছিল। এবার, আরজেডি ১৪৩টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে এবং কংগ্রেস ৫৯টি আসনে তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। মুকেশ সাহানির ভিআইপি ১৫টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে এবং বাকি ৩০টি আসনে সিপিআইএমএল, সিপিএম এবং সিপিআইয়ের মতো বাম দল গুলো প্রার্থী দিয়েছে। সিপিআই(এম) বিহারের চারটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে।
Bihar
‘মহাগাটবন্ধন’এর মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী

×
Comments :0