বার্মায় বিমান হামলায় একটি স্কুলের ১৯ শিশু ও দুজন শিক্ষকসহ অন্তত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। হামলায় স্কুলের একটি ভবন সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে এবং আশেপাশের অনেক ভবন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্কুলের ছাদ এবং ইটের দেওয়াল ভেঙে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। মাটিতে পড়ে ছিল একাধিক পড়ুয়ার স্কুলব্যাগ।
সংবাদ সংস্থার খবরে জানা গেছে শুক্রবার মধ্যরাতের ঠিক পরে কিয়াউকতাও শহরের দু‘টি বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। যেখানে ১৫ থেকে ২১ বছর বয়সী ১৯ জন পড়ুয়া নিহত এবং আরও ২২ জন আহত হয়। শনিবার এক বিবৃতিতে আরাকান আর্মি জানিয়েছে, শুক্রবার মধ্যরাতের ঠিক পরে কিয়াউকতাও শহরের দুটি বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। সেখানে ১৫ থেকে ২১ বছর বয়সী ১৯ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়। এই ঘটনায় আরও ২২ জন পড়ুয়া আহত হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে,নিরীহ পড়ুয়াদের মৃত্যুর জন্য আমরা শোকাহত। ঘটনার জন্য জুন্টা সরকারকে দায়ী করেছে বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি।
জুন্টা সরকার যদিও বিবৃতিতে দাবি করেছে, ‘‘অসামরিক কোনো লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালানো হয়নি।’’ রাষ্ট্র সঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র এই হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘স্কুল এমন একটি এলাকা হওয়া উচিত যেখানে শিশুরা নিরাপদে শিখতে পারবে, বোমা হামলার শিকার হওয়ার নয়।’’
প্রত্যক্ষ্যদর্শী ওই স্কুলের এক শিক্ষক সংবাদ সংস্থাকে বলেন, ‘‘ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২০ জন শিশু ও দুজন শিক্ষকসহ মোট ২২ জন নিহত হয়েছেন। আমরা শিশুদেরকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বোমা ফেলে যাওয়ায় তা সম্ভব হয়নি।’’
বার্মার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে খবরে জানা গেছে নিহতদের মধ্যে পিনইয়ার প্যান কিন প্রাইভেট হাই স্কুলের ১৯ জন এবং আমিইন থিট প্রাইভেট হাই স্কুলের তিনজন পড়ুয়া ছিলেন।
Myanmar Air Strike
বার্মার স্কুলে বোমা হামলায় পড়ুয়া, শিক্ষক সহ নিহত অন্তত ২২

×
মন্তব্যসমূহ :0