Sucharita Maity SFI

প্রতিবাদী ছাত্রীকে তুলে নিয়ে রাত পর্যন্ত মারধর, সারা গায়ে আঘাতের দাগ

রাজ্য জেলা

মেদিনীপুরের এসএফআই কর্মী সুচরিতা দাস। রাতভর থানায় আটকে ছিলেন। মঙ্গলবার বেরিয়েই ফের এসএফআই’র মিছিলে।

চিন্ময় কর

সুচরিতা দাস, মেদিনীপুর  কলেজে অঙ্ক অনার্সের তৃতীয় বর্ষে ছাত্রী। সারা শরীর জুড়ে আঘাত, ক্ষতের চিহ্ন। 
সোমবার এই সুচরিতাকেই মেরে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বের করেছিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীবাহিনী। আর বাইরে আনতেই ঝাঁপিয়ে পড়ে টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তুলে নেয় তৃণমূল সরকারের পুলিশ। রাত ২টোয় মহিলা থানা থেকে ছাড়া পেয়েছেন সুচরিতা। আর পরদিনই, মঙ্গলবার যোগ দিয়েছেন আন্দোলনে। এদিন মেদিনীপুরে তাঁকে পাশে নিয়েই সাংবাদিক সম্মেলন করেন সৃজন ভট্টাচার্য সহ এসএফআই নেতৃবৃন্দ।
সুচরিতা জানিয়েছে, মহিলা পুলিশ থানায় নৃশংস আক্রমণ করেছে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশ মন্ত্রীর রাজত্বে। মুচলেকা দিয়ে ছাড়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। সে প্রস্তাব সটান নাকচ করে দেন তৃতীয় বর্ষের এই ছাত্রী। একুশ বছরের সুচরিতা জানিয়েছে, তাঁর মায়ের বয়সি মহিলা, থানার আইসি সহ মহিলা পুলিশরা পুরুষদের এনে শায়েস্তা করার হুমকি দেয়। এসবই চলতে থাকে থানার গোপন কক্ষে। গতকাল রাত ২টা পর ছাড়া হয়। 
মঙ্গলবার কেবল সাংবাদিক সম্মেলন নয়, সুচরিতা শামিল হয়েছেন, যথারীতি, বিক্ষোভ মিছিলে।
সুচরিতা বলেছেন, সেই জাল স্যালাইন কাণ্ডে প্রতিবাদের সময় থেকে পুলিশ আর তৃণমূলের খুব রাগ। বলেছে,  সরকারকে খুব জ্বালিয়েছে। তখন থেকেই পুলিশের  টার্গেট। 
সোমবার ছিল ছাত্র ধর্মঘট। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ছাত্রদের ওপর গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে এই ধর্মঘটের ডাক দেয় এসএফআই। সেদিন মেদিনীপুর কলেজ গেটে কোতোয়ালি থানার আইসি এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দাঁড়িয়ে থেকেছেন। আর তৃণমূলের বহিরাগত গুণ্ডা বাহিনীকে কলেজে ঢুকিয়ে দফায় দফায় আক্রমণ করে। শেষ পর্যন্ত কলেজ ক্যাম্পাস থেকে জোর করে চুলের মুঠি ধরে টেনে কলেজ গেটের সামনে নিয়ে আসা হয় সুচরিতাকে। পুলিশ প্রশাসন ঝাঁপিয়ে পড়ে তুলে নিয়ে যায়। 
থানায় সকাল নয়টা থেকে বিকাল চারটে পর্যন্ত এক গ্লাস জলও দেয়নি, জানান সুচরিতা। ভাতে জল মিশিয়ে পাতলা ডাল আর এক বাটি জল মিশানো সবজি দেয় খেতে। তারপর রাত আট নয়টা পর্যন্ত দফায় দফায় মারধর করা হয়।

Comments :0

Login to leave a comment