Santosh won by Bengal again

ফের সন্তোষ জয় বাংলার, এই নিয়ে ৩৩ বার

খেলা

বছরের শেষ দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকল বাংলার ফুটবল প্রেমীদের কাছে । ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের ৯০+৬ মিনিটে জয়সূচক গোল করেন প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ গোলদাতা রবি হাঁসদা। ৩৩ তম সন্তোষ জিতে ইতিহাসের পাতায় পাতায় স্বর্ণাক্ষরে নিজের নাম খোদাই করে ফেললেন সঞ্জয় সেন ।

বাংলা থেকে জাতীয় ক্ষেত্রে ফুটবলার উঠছে না। এমনটা বেশ কিছু বছর ধরেই চলছে। ২০১৬ তে শেষবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলা দল। তবে এই জয় আরো বেশি স্মরণীয়। কারণ দলের বেশিরভাগ ফুটবলাররাই বাঙালি। কোচ সঞ্জয় সেন একজন জাদুকর। তার জাদুবলেই মূলত বদলে গেছে গোটা দলের চেহারা । জেগেছে লড়াই করার মানসিকতা।

গাচ্ছিবৌলি স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচটা অবশ্য বড্ড হাড্ডাহাড্ডি খেলা হল। প্রথম থেকেই মাঝমাঠ নির্ভর খেলা হওয়ায় খুব বেশি বৈচিত্রের দেখা মিলছিল না । কেরালা দলের রক্ষণভাগ বেশ ভালোভাবেই সামাল দিচ্ছিল রবি, নরহরিদের আক্রমণ। প্রথমার্ধে কোনো গোল আসেনি । দ্বিতীয়ার্ধেরও বেশ কিছুটা সময় মাঝামাঠ কেন্দ্রিক খেলাই হচ্ছিল। বিপক্ষকে ভালো মতন পর্যবেক্ষণ করেই খেলতে নেমেছিল আইএম বিজয়নের রাজ্য। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে নাটক । রবি হাঁসদা বুদ্ধিদীপ্ত লব শটে গোল করে বাংলাকে সেরার মুকুটটা পরিয়ে দিলেন । তার সঙ্গে দিলেন একটি আশাও। দীপেন্দু বিশ্বাসের পর তিনি বাংলার স্ট্রাইকারের যিনি সারা দেশের সমীহ আদায় করতে পারেন। তবে সন্তোষ জেতার পর যদি রবি হাঁসদার মতো খেলোয়াড়রা কোনো বড় দলে সুযোগ না পান, প্রশ্ন উঠে যাবে বড় দলের ছোট মানসিকতার। 

সঞ্জয় সেনও নিজের কোচিং ক্যারিয়ারের ১০০ শতাংশ রেকর্ড অক্ষুণ্ন রাখলেন। বাংলা দলকে খালি হাতে ফেরালেন না । নিজামসদের শহর থেকে ট্রফি নিয়েই কলকাতায় ফিরবেন সঞ্জয় । তার নামের মধ্যেই যে রয়েছে জয়ের সুগন্ধ।

Comments :0

Login to leave a comment