আশঙ্কা ছিলই। শুক্রবার দুপুরে গ্রেপ্তার করা হলো লাদাখের সমাজকর্মী সোনম ওয়াঙচুককে। লাদাখকে পূর্ণ রাজ্যের স্বীকৃতির দাবিতে আন্দোলনের অন্যতম নেতাও তিনি।
গত বুধবার লাদাখের রাজধানী লেহ-তে আন্দোলন তীব্র হয়ে ওঠে। লেগ অ্যাপেক্স কাউন্সিলের ডাকে অনশন চলছিলই। দু’জন অনশনকারী অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিক্ষোভকারীরা পুড়িয়ে দেন বিজেপি’র দপ্তর। প্রশাসনিক দপ্তরেও আগুন লাগে।
কিন্তু প্রায় পনের দিন ধরে অনশন চললেও দাবি মেটানোর প্রশ্নে সদর্থক ভূমিকা নেয়নি কেন্দ্র।
কিন্তু বুধবার রাত থেকেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক লাদাখে অশান্তির জন্য দায়ী করে চলেছে ওয়াঙচুককে। বৃহস্পতিবার তাঁর সংগঠনের বিদেশি অনুদানের অনুমতি বাতিল করা হয়। সিবিআই পুরোদমে নামে ওয়াঙচুকের পিছনে। তখন থেকেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল গ্রেপ্তার করা হতে তাঁকে।
২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের সাংবিধানিক বিশেষ স্বীকৃতি কেড়ে নেওয়ার সময়ই পূর্ণরাজ্যকে ভেঙে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়।
লাদাখে বিক্ষোভ চলছে পূর্ণরাজ্যের মর্যাদার দাবি এবং আদিবাসী এলাকার বিশেষ স্বীকৃতি সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের জন্য। কেন্দ্রীয় শাসনে অতিষ্ঠ লাদাখবাসী বারবার জানাচ্ছেন ক্ষোভ।
আলোচনায় বসলেও কেন্দ্র দাবি মানতে নারাজ। ওয়াঙচুকের গ্রেপ্তারিতে স্পষ্ট এবার আন্দোলন থামাতে ধরপাকড় আরও কড়া করবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এর মধ্যেই বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় অন্তত ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে কেন্দ্র পরিচালিত প্রশাসন।
Sonam Wangchuk
পূর্ণরাজ্যের দাবি দমাতে লাদাখে গ্রেপ্তার সোনম ওয়াঙচুক

×
Comments :0