দীপশুভ্র সান্যাল, ধূপগুড়ি
ধূপগুড়িকে মহকুমা ঘোষণা করতে হবে। ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালকে স্টেট জেনারেল হাসপাতাল করতে হবে। সন্ত্রাস দুর্নীতিমুক্ত বাংলা গড়তে হবে। রুখতে হবে সাম্প্রদায়িক শক্তি। এমনই প্রচার সামনে রেখে ধূপগুড়িতে মহল্লায় মহল্লায় পৌঁছাচ্ছে সিপিআই(এম)।
ধূপগুড়ি কেন্দ্রে বামফ্রন্ট মনোনীত ও জাতীয় কংগ্রেস সমর্থিত সিপিআই(এম) প্রার্থী ঈশ্বর চন্দ্র রায়। শনিবার তাঁর সমর্থনে প্রচার মিছিলে ঘুরলেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। ছিলেন সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির সদস্য সায়নদীপ মিত্রও।
২০১১’র বিধানসভা ভোটে বামফ্রন্ট রাজ্যে পরাজিত হলেও জয়ী হয় ধূপগুড়িতে। কিন্তু ২০১৬’র ভোটে তৃণমূল এবং ২০২১’র ভোটে জয়ী হন বিজেপি’র প্রার্থীরা। এবার ধূপগুড়িতে উপনির্বাচন ৫ সেপ্টেমর। এবার উপনির্বাচনে বামফ্রন্টের প্রার্থী ঈশ্বরচন্দ্র রায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও লোকশিল্পী। ছাত্রাবস্থা থেকে রাজনীতি করেন। মানুষ অবশ্যই বামফ্রন্ট প্রার্থীকে জেতাবেন, আশাবাদী সুজন চক্রবর্তী।
এদিন প্রার্থী ঈশ্বরচন্দ্র রায়কে সঙ্গে নিয়ে ধূপগুড়ি শহরের এবং বাজারে মিছিল করে ভোট প্রচার করেন সুজন চক্রবর্তী। ছিলেন সিপিআই(এম) জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য, রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নেতা জীবেশ সরকার। অংশ নেন জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দ এবং কর্মী সমর্থকরা।
প্রচার শেষে এদিন সুজন চক্রবর্তী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘‘ আমরা প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে শহরে পরিক্রমায় বেরিয়েছি। খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি। মানুষ বুঝতে পারছেন তাঁদের কী ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে।’’
২০১১’র ভোটে জয়ী বামফ্রন্ট বিধায়ক যথাসাধ্য কাজ করেছেন, মানুষের পাশে থেকেছেন, মানুষের জন্য লড়াই আন্দোলন করেছিলেন। চক্রবর্তী বলেন, ‘‘২০১৬ সালে তৃণমূল এবং ২০২১ সালে বিজেপিকে জিতিয়ে মানুষ ঠকে গেছেন। মুখ্যমন্ত্রী গত বিধানসভা ভোটের আগে ধূপগুড়িকে মহাকুমা করার কথা বলে গিয়েছিলেন কোথায় গেল ধুপগুড়ি মহকুমা? কবে হবে? ভোটের আগে কাজি, ভোট ফুরালেই পাজি!’’
দু’দিন আগে প্রাক্তন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী এবং শিলিগুড়ির মেয়র তৃণমূল নেতা গৌতম দেব প্রচারে এসে মেজাজ হারিয়ে বলে বসেন যে ভোট না দিয়ে কাজের সময় তৃণমূল, এটা হতে পারে না।’ অর্থাৎ তৃণমূলকে ভোট না দিলে কাজ হবে না। গণতন্ত্রে এ ধরনের কথা কী বলা যায়, তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে ধূপগুড়ি রাজনৈতিক মহলে। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের কৈফিয়ত দিতে দিতে অবস্থা খারাপ।
ছবি: প্রবীর দাস
Comments :0