দেশের সমস্ত সরকারি স্কুলে বিনামূল্যে স্যানিটারি প্যাডের ব্যবস্থা করা উচিত। এই মর্মে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে সোমবার কেন্দ্র, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে নোটিস পাঠালো সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পি এস নরসিমার বেঞ্চ এদিন মামলাটি গ্রহণ করে।
মধ্য প্রদেশের চিকিৎসক সমাজকর্মী জয়া ঠাকুর এই জনস্বার্থ মামলার দায়ের করেন। শীর্ষ আদালত একইসঙ্গে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার সহযোগিতাও চেয়েছে এই মামলার ক্ষেত্রে। বিচারপতিরা বলেছেন, ‘‘সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে ছাত্রীদের স্বাস্থ্য বিধি ও পরিচ্ছন্নতা নিয়ে আবেদনকারী গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন।’’ জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ফের শুনানি হবে।
সমাজকর্মী জয়া ঠাকুর তাঁর আবেদনে জোরের সঙ্গে উল্লেখ করেছেন, ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের জন্য সরকারি স্কুলগুলিতে বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিনের ব্যবস্থা রাখা দরকার। এই বিষয়ে শীর্ষ আদালতের নির্দেশের আরজি জানান তিনি। পাশাপাশি, স্কুলগুলিতে মেয়েদের জন্য আলাদা শৌচাগার এবং তা নিয়মিত পরিষ্কারের দাবিও জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক।
পিটিশনে তিনি বলেছেন, ‘মেনস্ট্রুয়াল হাইজিন ম্যানেজমেন্ট’ (এমএইচএম) বা ঋতুস্রাবের সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, অসচেতনতা, স্যানিটারি ন্যাপকিনের অভাবে ছাত্রীদের মধ্যে স্কুলছুটে সংখ্যা বাড়ছে। আবেদনকারীর আইনজীবী বরুণ ঠাকুর একটি সমীক্ষা-রিপোর্ট পেশ করে বলেছেন, সঠিক এমএইচএমের অভাবে বছরে ২ কোটি ৩০ লক্ষ স্কুলছুটের তালিকায় পড়ছে। অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শৌচাগারও ঠিক মতো না থাকায় মারাত্মক সমস্যার মুখে পড়তে হয় মেয়েদের।
বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বা স্কুলে শৌচালয়ই শুধু নয়। ত্রি-স্তরীয় সচেতনতা কর্মসূচির আবেদনও জানিয়েছেন আবেদনকারী। যার মাধ্যমে ঋতুস্রাব সংক্রান্ত ছুঁৎমার্গ ভুলে ওই সময়ে শরীরের যত্ন নেওয়া সহজ হবে। সেইসঙ্গে সঠিক স্যানিটেশন পরিষেবা, ভরতুকিযুক্ত অথবা বিনামূল্যে মহিলাদের স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রদান (বিশেষ করে তথাকথিত প্রত্যন্ত এলাকায়) এবং ঋতুস্রাব সংক্রান্ত বর্জ্য নিষ্কাশনে সঠিক পদ্ধতি মেনে চলাও সম্ভব হবে।
Comments :0