ssc scam

স্পষ্ট জানালো সুপ্রিম কোর্ট

রাজ্য

 শিক্ষক নিয়োগে যাঁরা র্যা ঙ্ক জাম্প করে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁর ‘টেইন্টেড’ বা ‘দাগী’ হিসাবেই চিহ্নিত করেছে এসএসসি। সুপ্রিম কোর্ট এই প্রার্থীদের পরীক্ষায় বসার আবেদন খারিজ করে দিল। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যারা র্যা ঙ্ক জাম্প করে চাকরি পেয়েছিলেন তাঁরা এসএসসি’র নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। 
এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কেবি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়ে বলেছে এই র্যােঙ্ক জাম্প করা শিক্ষকরা ‘অযোগ্য’ হিসাবেই বিবেচিত হয়েছে। এর আগে গত ৩ এপ্রিল তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না যে নির্দেশ দিয়েছিলেন তা একেবারেই সঠিক ছিল। সেই নির্দেশের কোনও পরিবর্তন হবে না। ‘টেইন্টেড’ বা ‘অযোগ্য’ শিক্ষকরা পরীক্ষায় বসতে পারবেন না।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এসএসসি’র ২৫ হাজার ৭৫২ জন শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। এঁদের মধ্যে র্যা্ঙ্ক জ্যাম্প করে যাঁরা চাকরি পেয়েছিল, তারাও রয়েছে। এই শিক্ষকদের ‘অযোগ্য’ হিসাবে বিবেচিত করেছে এসএসসি। ‘যোগ্য’ প্রার্থীদের টপকে প্যানেলের ওপরে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল এই প্রার্থীদের। চাকরি বাতিল হওয়া এমন শিক্ষকদের একটি অংশ সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল। তাঁরা মামলা দায়ের করে বলেছিলেন, আমরা সাদা খাতা দিয়ে চাকরি পাইনি। আমরা পরীক্ষা দিয়েছিলাম। ফলে আমাদের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হোক। বুধবার বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কেবি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ এই মামলা কার্যত গ্রহণ করেনি। শীর্ষ আদালত বলেছে ‘টেইন্টেড’রা নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে পারবে না। চিহ্নিত ‘অযোগ্য’দের তালিকায় এই প্রার্থীরা রয়েছেন। শিক্ষকদের মধ্যে ‘অযোগ্য’ বা ‘টেইন্টেড’ বলে যাঁদের বলা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছে ওএমআর শিট বিকৃত করা প্রার্থী, প্যানেল বহির্ভূত প্রার্থী, প্যানেল উত্তীর্ণ হওয়ার পর যাঁদের চাকরি দেওয়া হয়েছে, সাদা খাতা জমা দিয়ে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, র্যা ঙ্ক জাম্প করে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, এছাড়াও অনেক বেআইনি নিয়োগ রয়েছে। 
সুপ্রিম কোর্ট তার নির্দেশে বলেছে, এসএসসি’র এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার কোনও তথ্য এবং নথি নিজেদের কাছে রাখেনি। ফলে ‘যোগ্য’ এবং ‘অযোগ্য’ প্রার্থীদের তারা বাছাই করতে পারেনি। ওএমআর শিটের কোনও স্ক্যান কপি না রেখেই ওএমআর নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে ‘অযোগ্য’ প্রার্থীদের রক্ষা করার জন্য ‘যোগ্য’ প্রার্থীদের ওএমআর শিট-ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি এবং জালিয়াতি চাপা দেবার কাজ করতে গিয়ে নিয়োগকারী সংস্থা এসএসসি অপূরণীয় ক্ষতি করেছে।
শীর্ষ আদালত তার নির্দেশে বলেছে, আগামী ৩১ মে’র মধ্যে নিয়োগ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করবে এসএসসি। এই বিজ্ঞপ্তির জারির তথ্য শীর্ষ আদালতে জমা দিতে হবে। এছাড়া আদালত বলেছে, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়ার কাজ শেষ করতে হবে। এই নির্দেশের পরই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে এক আবেদনে শীর্ষ আদালতকে জানানো হয়, স্কুলগুলি চালানোর জন্য এই শিক্ষকদের কিছুদিনের জন্য স্কুলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হোক। শীর্ষ আদালত সেই আবেদনের ভিত্তিতে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই শিক্ষকদের স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। তবে গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি কর্মীদের স্কুলে যাওয়ার কোনও অনুমতি দেয়নি শীর্ষ আদালত। কারণ এই স্তরে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে বলে মনে করেছে শীর্ষ আদালত।

Comments :0

Login to leave a comment