Gaza Trump

গাজায় নিহত ৪০, পৌঁছাচ্ছে সংহতির ‘ফ্লোটিলা’, ‘সমঝোতার’ চমক ট্রাম্পের

আন্তর্জাতিক

গাজায় আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে তেল আভিভে বিক্ষোভের মুখে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীই।

গণহত্যা পুরোদমে চলছে গাজায়। অপুষ্টিতে মারা যাচ্ছে শিশুরা। ইজরায়েল এবং তার প্রধান মদতদাতা আরও কোণঠাসা হচ্ছে ঘরে বাইরে। 
তার মদ্যেই রবিবার আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের পোস্ট ঘিরে আলোচনা তুঙ্গে। 
নিজের মালিকানায় চালানো সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশালে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘প্রথমবার হতে চলেছে! আমরা করেই ছাড়ব।’’
ট্রাম্পের সংযোজন, ‘‘মধ্য প্রাচ্যের মহত্ত্ব প্রমাণের পক্ষে উপযুক্ত সমঝোতা তৈরি। সকলেই আলোচনায় অংশীদার, বিশেষ সিদ্ধান্তের অংশীদার।’’
ট্রাম্প যদিও এর আগে জানিয়েছিলেন যে গাজার বাসিন্দাদের তাড়িয়ে সমুদ্রপারের ওই অংশে মনোরম আবাসন প্রকল্প গড়াই তাঁর লক্ষ্য!
গাজায় প্রতিরোধী গোষ্ঠী হামাস আরবের সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে যে তাদের হাতে এমন কোনও প্রস্তাব পৌঁছায়নি। তবে আমেরিকা এবং ইজরায়েলের বিভিন্ন সংবাদপত্রে বলা হয়েছে যে ২১টি শর্তে ইজরায়েল এবং হামাসের সমঝোতা প্রস্তাব তৈরি করেছে আমেরিকা।
কোনও কোনও সংবাদমাধ্যমের দাবি, সমঝোতা প্রস্তাবে রয়েছে সই হওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বন্দিদের মুক্তির শর্ত। ইজরায়েলকে গাজার মাটি ছাড়ার শর্তও রয়েছে। প্যালেস্তাইনের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।’’ 
প্যালেস্তাইনের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেয় উন্নয়নশীল বিশ্বের বহু দেশই। গত এক মাসে আমেরিকার সঙ্গী পশ্চিম ইউরোপের ব্রিটেন, ফ্রান্সের মতো দেশ এবার এই স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত জানাতে শুরু করেছে। 
সম্প্রতি রাষ্ট্রসঙ্ঘের ৮০ তম সাধারণ পরিষদে আমেরিকা কিন্তু প্যালেস্তাইনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে মর্যাদার কোনও ঘোষণাই করেনি। তবে গত বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের ভাষণে ট্রাম্প বলেছিলেন যে ‘সমঝোতা চূড়ান্ত পর্বের কাছাকাছি রয়েছে।’ 
একাংশের আশঙ্কা বিশ্ব জনমতের চাপে ট্রাম্পের এমন সমঝোতা আসলে মধ্য প্রাচ্যে আমেরিকার প্রভাব বাড়ানোর লক্ষ্যেই। 
শনিবার ৭০ প্যালেস্তিনীয়কে হত্যা করেছিল ইজরায়েলের সেনা। রবিবার ১রও ৪০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। ৬৬ হাজারের বেশি প্যালেস্তিনীয়কে কেবল গাজায় হত্যা করেছে ইজরায়েল। 
রবিবারই গাজার খান ইউনিসে অপুষ্টিতে ভুগে মৃত্যু হয়েছে আড়াই মাসের শিশু ইদ মাহমুদ আবু জামার। সন্তানের দেহ কোলে নিয়ে পিতার ছবি ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বময়। গাজায় ত্রাণও আটকে রেখেছে ইজরায়েল। 
এর মধ্যে আন্তর্জাতিক সংহতিতে নেওয়া উদ্যোগ ‘গ্লোবাল ফ্লোটিলা’ গাজার দিকে এগিয়েছে। প্রায় ৫০টি ছোট বড় নৌযানে নেওয়া হচ্ছে খাদ্য পানীয়, শিশুদের আহার, ওষুধ। ৩০ সেপ্টেম্বর পৌঁছানোর কথা ফ্লোটিলার।
২১ শর্তের সমঝোতা প্রস্তাব সম্পর্কে হামাস বলেছে, সংঘর্ষ বিরতির পক্ষে স্থায়ী আলোচনা সবসময়ে ইতিবাচক। তবে কোনও খসড়া সমঝোতাপত্র আমাদের হাতে দেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য, কাতারের দোহায় আলোচনা প্রক্রিয়ার মধ্যে হাাসের প্রতিনিধিদের আবাস লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইজরায়েল।

Comments :0

Login to leave a comment