তীব্র দাবদাহের মধ্যেই গাছ কাটা চলছে হুগলী চুঁচু্ড়া পৌর এলাকায়। গাছ কাটাকে পরিবেশের ওপর প্রাণঘাতী আঘাত বলছেন পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের ব্যান্ডেল মগরা বিজ্ঞানকেন্দ্রের কর্মীরা।
জানা গিয়েছে হুগলী-চুঁচুড়া পৌর এলাকার ২ নং ওয়ার্ড সংলগ্ন নন্দীবাড়ির কাছে একটি ৭-৮ দশকের বেশি পুরোনো একটি নিমগাছ ছিলো। মানুষ উৎসবে পার্বনে গাছের কাছেই জড়ো হতেন। গাছের কাছেই উৎসব হত। কেউ বা কারা পৌরসভা বা বনদপ্তরের কাছ থেকে কোন অনুমতি না নিয়ে সেই গাছটিকে কেটে দেয়।
শুক্রবার সকালে স্থানীয় এক বাসিন্দা বিজ্ঞান মঞ্চের প্রতিনিধিদের ঘটনাটি জানান। ব্যান্ডেল-মগরা বিজ্ঞানকেন্দ্রের সম্পাদক সন্দীপ সিংহ জানান বৃক্ষজাতীয় গাছ কাটা প্রকারান্তরে পরিবেশের ওপর প্রাণঘাতী আক্রমণের সমান। গাছ পৃথিবীর ফুসফুস বলা চলে। হুগলী চুঁচুড়া পৌরসভার ২০-২৫ টি জায়গায় এরকম গাছ কাটা হয়েছে। আমরা বিজ্ঞানমঞ্চের পক্ষ থেকে বারংবার এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছি। শুধু হুগলী চুঁচুড়া পৌর এলাকা নয় পাশের চন্দননগর পৌরনিগম এলাকাতেও গাছ কাটা হয়েছে। এখন পশ্চিমবঙ্গের তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে। এখনও যদি সচেতন না হওয়া যায় আগামী দিন হবে ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে।
হুগলী চুঁচুড়া পৌরসভার প্রাক্তন সিপিআই(এম) কাউন্সিলার তথা হুগলী এরিয়া সম্পাদক সমীর মজুমদার জানান বৃক্ষজাতীয় গাছ পরিবেশের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে। এই ধরনের গাছ কাটতে গেলে বন দপ্তরের অনুমতি সহ পৌরসভাকে লিখিত ভাবে জানাতে হয়। আমার যতদূর জানা এসব হয়েছে বলে তো মনে হয় না। এসব না করেই ২ নং ওয়ার্ডে ৭-৮ দশকের পুরোনো গাছ কাটা হল, নিশ্চই আর্থিক লাভের জন্য। ২ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলারের অজান্তে এসব কি হতে পারে? প্রশাসনকে এর জবাব দিতে হবে। গাছ কাটার একটা অসাধু চক্র তৈরি হয়েছে। যা গরম তাতে গাছ কাটলে তো বিপদ বাড়বে।
Comments :0