পাকিস্তানকে কুটনৈতিক ভাবে আরও চাপে ফেলতে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর মাধ্যমে দুটি কাজ করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। এক পহেলগাম হামলার ঘটনা এবং পাকিস্তানের ভূমিকা গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরা। তার পাশাপাশি অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় সরকারের যেই মনোভাব তা বিশ্বের কাছে তুলে ধরা। ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিতে চেয়েছে, বিশ্বের দরকারে একথা প্রমাণ করতে সংসদীয় প্রতিনিধি দলের মাধ্যমে দৌত্যে নেমেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর দু’টি সর্বদলীয় বৈঠকেই গরহাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিরোধীরা সংসদের বিশেষ অধিবেশন দাবি করলেও তা মানেনি কেন্দ্র।
সূত্রের খবর, তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই তালিকায় নাম ছিল বহরমপুরের সাংসদ ইউসুফ পাঠানের। গতকাল তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে তাদের কোন সাংসদ এই প্রতিনিধি দলে থাকবেন না। খোদ অভিষেক নিজে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান যে কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপকে তারা সমর্থন করছে। কিন্তু তাদের কোন প্রতিনিধি দলে থাকবেন না। তাঁর কথায়, কেন্দ্রীয় সরকার কখনও ঠিক করতে পারে না কোন দল থেকে কে প্রতিনিধি হবেন, তা ঠিক করার অধিকার নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের।
উল্লেখ্য কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যে সাংসদদের তালিকা সরকারকে পাঠানো হয়েছিল সেখানে শশী থারুরের নাম ছিল না। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকেই আমেরিকার জন্য তৈরি প্রতিনিধি দলের প্রধান করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক সংসদীয় প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে কেন্দ্র।
Comments :0