Gaza Killing

স্বাস্থ্য শিবিরের সামনে ট্যাঙ্ক, উদ্বাস্তু শিবিরে বোমা, শিশুসহ গাজায় নিহত আরও ৭০

আন্তর্জাতিক

উত্তর এবং মধ্য গাজায় পরপর বোমা ফেলেছে ইজরায়েলি বিমান। নুসেইরত উদ্বাস্তু শিবিরে নিহত একই পরিবারের ৯ সদস্য। রাত পর্যন্ত ৭০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
রাষ্ট্রসঙ্ঘে নেতানিয়াহুর আক্রমণাত্মক ভাষণের পরপরই চালানো হয়েছে হামলা। গাজায় ‘দ্রুত কাজ শেষ’ করার লক্ষ্য জানান নেতানিয়াহু। রাষ্ট্রসঙ্ঘে তাঁর ভাষণের মুখে গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে ‘ওয়াক আউট’ করেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা। 
নেতানিয়াহু নিজের দেশেই আগ্রাসন চালানোর দায়ে পড়ছেন বিক্ষোভের মুখে। গাজায় হামাসের হাতে বন্দিদের পরিবারও বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। তিনি যদিও গাজায় গণহত্যার জন্য ছেড়ে রেখেছেন বাহিনীকে। গাজার জমি এখন দখল করছে সেনা। প্যালেস্তিনীয়দের তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে একদিন থেকে অন্যদিকে। 
সোমবার নিউ ইয়র্কে ট্রাম্পের সঙ্গে নেতানিয়াহুর বৈঠক হওয়ার কথা। ট্রাম্প বলে চলেছেন যে গাজায় সংঘর্ষবিরতির দিকে কয়েক ধাপ এগিয়েছেন তিনি। কিন্তু বিশ্বজুড়ে নেতানিঝাবুকে মদত দেওয়ার জন্য ধিকৃত হচ্ছেন ট্রাম্প নিজেই। 
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, হাজায় এর মধ্যেই ৩ লক্ষ মানুষকে জায়গা জমি ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে। কিন্তু গাজার জমি দখলে আরও ৭ লক্ষকে এখনই হটাতে চাইছে ইজরায়েল। সেই মানুষ যাবেন কোথায় ঠিক নেই। এই পরিস্থিতিতে খাদ্যের সঙ্কট তীব্র গাজায়। শিশুদের একটু জল খাওয়াতে পরিবারের বাকিরা ছুটে চলেছেন। 
শনিবার সকালের হামলার গাজা সিটির তুফাহ এলাকায় বিমান হানায় নিহত হয়েছেন ১১ প্যালেস্তিনীয়। তাঁদের ৬জনই শিশু ও মহিলা। শাতি উদ্বাস্তু শিবিরে হামলায় একটি পরিবারের ৪ সদস্য নিহত হয়েছে। 
গাজায় ত্রাণের কাজে যুক্ত চিকিৎসক সংগঠন ডক্টর্স উইদাউট বর্ডার্স জানিয়েছে যে ইজরায়েলের সেনার চাপে কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে তাদের। স্বাস্থ্য শিবিরের আধমাইল দূরে দাঁড়িয়ে রয়েছে ট্যাঙ্ক। যে কোনও সমসয়ে গোলা পড়ার হুমকি চলছে। 
রাষ্ট্রসঙ্ঘের অনুরোধ উপেক্ষা করে গাজায় খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে রেখেছে ইজরায়েলের সেনা।

Comments :0

Login to leave a comment