রবিবার সংবিধান দিবস সরকারিভাবে পালিত হয়েছে নয়াদিল্লিতে। বাবাসাহেব আম্বেদকরের একটি মূর্তির উন্মোচন করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সুপ্রিম কোর্ট চত্ত্বরে মূর্তির উন্মোচন হয়। বাবাসাহেবকে সম্মান জানান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনলাল মেঘওয়াল। এদিন তেলেঙ্গানার ভুবনগিরি অঞ্চলে বাবাসাহেবের মূর্তিতে মালা পরিয়ে শ্রদ্ধা জানান সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।
সংবাদসংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, এদিন বাবা সাহেবের ৭ ফুট উচ্চতার মূর্তি উন্মোচিত হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের একাধিক বিচারপতি এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর কন্সটিটুয়েন্ট অ্যাসেম্বলিতে গৃহীত হয় ভারতের সংবিধান। ২ বছর ১১ মাস ধরে বিশ্বের বিভিন্ন সংবিধানের নির্যাসের শ্রেষ্ঠ অংশটুকু বেছে নিয়ে স্বাধীন ভারতের সংবিধান রচিত হয়। সংবিধান নির্মাণের ড্রাফ্টিং কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন বাবাসাহেব ভিমরাও আম্বেদকর।
স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৪ সাল অবধি এই দিনটিকে আইন দিবস হিসেবে পালন করা হত। ২০১৫ সাল থেকে ২৬ নভেম্বর পরিণত হয় সংবিধান দিবসে।
বিরোধীদের অভিযোগ, বাবাসাহেবের ৭ ফুট উচ্চতার মূর্তি তৈরি করলেও, তাঁর রচিত সংবিধানকে প্রতিদিন খর্ব করছে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার। সংবিধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল রাষ্ট্রের নির্দেশমূলক নীতি সমূহ। সেই নীতি অনুযায়ী, দেশের শ্রমিক, কৃষক সহ মেহনতি মানুষের অধিকার রক্ষা করতে ভারত রাষ্ট্র অঙ্গীকারবদ্ধ। কিন্তু বর্তমানে সেই নীতি মানা হচ্ছেনা।
সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সদস্য অশোক ধাওয়ালে বলেছেন, ‘‘১৯৪৯ সালের এই দিনেই দীর্ঘ আলোচনার পরে স্বাধীন ভারতবর্ষের সংবিধান গৃহীত হয়। সেই সংবিধানের সমস্ত মৌলিক আদর্শগুলিকে আজ ভুলিয়ে দিতে চাইছে কেন্দ্রের সরকার। তাই এইদিনের গুরুত্ব সাধারণ মানুষের কাছে নতুন করে তুলে ধরা প্রয়োজন।’’
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ২৬-২৮ নভেম্বর অবধি শ্রমিক-কৃষক-কর্মচারীরা দেশজুড়ে সমস্ত রাজভবনের সামনে ধর্ণা অবস্থান চালাবেন। সেখানে সংগঠন ভিত্তিক দাবির পাশাপাশি সংবিধান রক্ষার দাবিও জানাবেন বামপন্থীরা।
Comments :0