তিনি বাড়ি ফিরলেন। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ২৯ আগস্ট শ্বাসনালিতে সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে দীর্ঘ চিকিৎসার পর বুধবার সকালে ৫৯ পাম অ্যাভিনিউ, নিজের সরকারি ফ্ল্যাটে ফিরলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে বাড়ি নিয়ে আসা হয়। অ্যাম্বুলেন্সে তাঁর সাথে একজন চিজিৎসক ছিলেন।
বাড়িতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দেখভাল করার জন্য একজন নার্স রাখা হয়েছে হাসপাতালের পক্ষ থেকে। চিকিৎসকরাও নিয়মিত আসা যাওয়া করবেন। এদিন হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে একমাস হোম কেয়ারে থাকবেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। হাসপাতালের পক্ষ থেকে বুধবার সকালে যেই বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে যে, তাঁর চিকিৎসার জন্য ১১ জন বিশিষ্ট চিকিৎসককের একটি দল গঠন করা হয়েছিল। তাদের তত্ত্বাবধানেই ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
২৯ আগস্ট প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে যখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তখন তাঁর শারিরীক অবস্থা ছিল সঙ্কটজনক। সেই রাতেই ইন্টেনসিভ ভেন্টিলেশনে রাখা হয় তাঁকে। চলতে থাকে কড়া ডোজের অ্যান্টিবায়োটিক। ধীরে ধীরে চিকিৎসায় উন্নতি হতে থাকে তাঁর। ৩১ আগস্ট ভেন্টিলেশন থেকে বাইরে আনা হয় তাঁকে। গত শনিবার বন্ধ হয় অ্যান্টিবায়োটিক। এই সময় কালে ভেন্টিলেশনের বাইরে আনা হলেও বাইপ্যাপ সাপোর্টে ছিলেন তিনি। রাইলস টিউবের মাধ্যমে খাওয়ানো হয় তাঁকে।
এদিন যখন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে হাসপাতালের বাইরে আনা হয় তখন দেখা যায় যে রাইলস টিউব লাগানো রয়েছে। কিন্তু সচেতন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। আগের মতো হাত নাড়তে পারেননি তিনি ঠিক। কিন্তু চিকিৎসকদের প্রতি কৃতঞ্জতা জানাতে ভোলেননি। একজ ন ডাক্তারের হাত ধরে থাকতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
মঙ্গলবার বেসরকারি হাসপাতালের পক্ষ থেকে পাম অ্যাভিনিউয়ের আবাসনে এসে খতিয়ে দেখে যাওয়া হয়েছে চিকিৎসা ব্যবস্থা। বাড়িতে কি ভাবে তাঁকে বাইপ্যাপে রাখা হবে তা দেখে গিয়েছেন হাসপাতালের প্রতিনিধি দল। এদিন বুলেটিনে বলা হয়েছে যে বাড়িতে নিয়মিত হাসপাতালের লোক গিয়ে ফিজিওথেরাপি করাবে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী যখন হাসপাতালে ছিলেন তখন তাঁকে দেখতে বার বার ছুটে গিয়েছেন বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম, সূর্যকান্ত মিশ্র সহ নেতৃত্ব। হালিশহর থেকে ট্রাই সাইকেল চালিয়ে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারিরীক অবস্থার খোঁজ নেওয়ার জন্য ছুটে এসেছেন সিপিআই(এম) কর্মী, এছাড়া হাসপাতালের বাইরে ভীড় জমিয়ে ছিলেন বহু কর্মী সমর্থকরা।
Comments :0