প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চন্দ্রনাথ সিনহার ইডি হেপাজত হবে কি হবে না তা জানা যাবে মঙ্গলবার। শনিবার ইডি’র বিশেষ আদালতে ছিল প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চন্দ্রনাথ সিনহার অন্তবর্তী জামিনের বিরোধিতায় ইডি’র করা মামলার শুনানি। সেখানে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে মন্ত্রীকে নিজেদের হেপাজতে চাওয়া হয়। কেন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দেরিতে দেওয়া হলো তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত। বিচারপতি জানিয়েছেন মঙ্গলবার বেলা ২টোর সময় ফের এই মামলার শুনানি হবে। 
আদালতে ইডির আইনজীবী দাবি করেন চন্দ্রনাথ সিনহা প্রভাবশালী, তিনি তদন্ত প্রভাবিত করতে পারেন। এর আগে ইডির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, চন্দ্রনাথ তাদের প্রয়োজনীয় নথি দিচ্ছে না। মঙ্গলবার চন্দ্রনাথ জানান তিনি ইডিকে সব তথ্য দিয়েছেন। 
ইডি সূত্রে খবর, প্রায় ১৫৯ জন চাকরি প্রার্থীর থেকে গড়ে ৮ লক্ষ টাকা করে নিয়েছিলেন চন্দ্রনাথ। এই বিপুল টাকা কোথায় গেলো। কোথায় খাটানো হলো তার তদন্ত করছে ইডি।
গত ৬ সেপ্টেম্বর ইডি’র বিশেষ আদালতে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আত্মসমর্পন করেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ  সিনহা। ইডি’র পক্ষ থেকে মন্ত্রীকে হেপাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। কিন্তু বিচারক তাকে ব্যাক্তিগত বন্ডে জামিন দেন। আদালত তাকে ব্যক্তিগত ১০ হাজার টাকার বন্ডে জামিন মঞ্জুর করে।
আদালত জানিয়েছে, জামিন পেলেও আপাতত নিজের বিধানসভা কেন্দ্র এবং কলকাতার বাইরে আর কোথাও যেতে পারবেন না মন্ত্রী। তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। যত দিন এই সংক্রান্ত শুনানি শেষ না-হচ্ছে, তত দিন এই নিয়ম মানতে হবে।
আগস্ট মাসের শুরুতে আদালতে চন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় ইডি। 
কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থার সূত্রে খবর, রাজ্যের প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে বলাগড়ের তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের সূত্র ধরে চন্দ্রনাথের নাম উঠে আসে। বার দুয়েক তলব এড়িয়ে যাওয়ার পর দিন কয়েক আগে তদন্তকারীদের মুখোমুখি হন চন্দ্রনাথ। বিভিন্ন নথিও তিনি জমা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কারামন্ত্রীর বাড়িতেও তল্লাশি চালায় ইডি। তল্লাশি চালিয়ে তার বাড়ি থেকে নগদ ৪১ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করে ইডি।