গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দফা রফা করে দিয়েছে। বদনাম হচ্ছে উত্তরবঙ্গের, উত্তরবঙ্গ লবির নামে। আসলে তো মমতা ব্যানার্জির ঘনিষ্ট কয়েকজন ডাক্তারদের কীর্তি। এরা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাশ করেছেন ঠিকই। কিন্তু উত্তরবঙ্গ-দক্ষিণবঙ্গ কোনও ভেদাভেদ নেই। এরা মেডিক্যাল কলেজগুলোকে দুর্নীতি-দুষ্কৃতীর ঘাঁটি করেছে।
বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে এই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জীবেশ সরকারও।
এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘এতদিনে মুখ্যসচিব সব জানলেন জুনিয়র ডাক্তারদের মুখ থেকে! কীরকম অপদার্থ সব আইএএস অফিসাররা। স্বাস্থ্যসচিব, মেডিক্যাল শিক্ষা অধিকর্তা, স্বাস্থ্য অধিকর্তারা কীরকম! তাঁরা জানতেন না কীভাবে সংবিধান বহির্ভূত ক্ষমতার কেন্দ্র গড়ে হাসপাতাল চালানো হচ্ছে।
এই যে দুর্নীতি-দুষ্কৃতী চক্র তা কি কেবল হাসপাতালে? এখন আরজি করের ঘটনায় গোটা রাজ্য বিচার চাইছে। এখন টনক নড়েছে মুখ্যমন্ত্রী আর মুখ্যসচিবের?
শিক্ষা, কৃষি, পৌরসভা, পঞ্চায়েত, ভূমি রাজস্ব দপ্তর সর্বত্র তো দুর্নীতি রয়েছে।’’
সল্টলেকে স্বাস্থ্যভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্নামঞ্চ থেকে প্যান্ডেল খুলে নেওয়া, ফ্যান তুলে নেওয়া হয়েছে। কলকাতা কর্পোরেশন বায়োটয়লেট তুলে নিয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নে সেলিম বলেন, ‘‘সল্টলেকে কলকাতা কর্পোরেশন কেন। কলতান দাশগুপ্তকে গ্রেপ্তার করল বিধাননগর পুলিশ থানা। কেন? সরকারে কার বিভাগ কার? কার নির্দেশে কে কাজ করছে? সল্টলেকে তো পৌরসভা আছে। তার প্রধান বিজেপি-তে গিয়ে তৃণমূলে ফিরে এসেছে। তিনি তো কামদুনিতে ধর্ষণ হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সময় ফুটবল ম্যাচ করাচ্ছিলেন। আজ প্রশ্ন তুলছে জুনিয়র ডাক্তাররা ধর্ণা মঞ্চে কেন খাচ্ছেন। আর কামদুনির সময় এরাই মঞ্চ বেঁধে ওখানে পিকনিক করছিল না? বিনীত গোয়েলকে দিয়ে ওই ঘটনার সাক্ষী সাবুদ সরানো হয়েছিল। ’’
উল্লেখ্য, যুবনেতা কলতান এবং তাঁর সঙ্গে ধৃত অভিযুক্তের বাড়ি যাদবপুরের হালতু এলাকায়। বিধাননগরের আওতায় এই মামলা এল কী ক’রে তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। আরেক প্রশ্নে সেলিম বলেন, ‘‘মমতা ব্যানার্জি বলেছিলেন কোনও প্রতিবাদ হবে না। প্রতিবাদেই তো আপত্তি। যারা ত্রিপল চুরি করে, চাল চুরি করে তারা তো ফ্যান চুরি করতেই পারে। ’’
এদিন সিজিও কমপ্লেক্সে যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি যান বয়ান রেকর্ড করতে। সে প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সিবিআই তৃণমূলকে ডাকে কেন, যখন চুরি বা খুন-ধর্ষণ ধরা পড়ে। আর মীনাক্ষী তো প্রথম দিন থেকে আরজি করে খুন-ধর্ষণের প্রমাণ লোপাটের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে। এ কারণে সিবিআই’র তদন্তকারী আধিকারিক, অতিরিক্ত এসপি মীনাক্ষীর সঙ্গে কথা বলতে চাইছিলেন গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে। ঘটনার দিন (৯ আগস্ট), যেভাবে বাবা-মাকে সরিয়ে, দেহ দেখতে না দিয়ে, বাধা উপেক্ষা করে দেহ তৃণমূলের হাতে দিয়ে দ্রুত দাহ করিয়ে দেওয়া হলো তার বিবরণ সিবিআই চাইছিল জানতে। সেদিন পুলিশ মীনাক্ষীদের সঙ্গে অভব্য আচরণও করে। মীনাক্ষী বলা মানে সত্য বয়ান সিবিআই জানল।’’
Comments :0