সি এ এ ’র নামে ভয় দেখিয়ে বিজেপি এবং তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গে মেরুকরণের রাজনীতি করছে। কিন্তু ভোট এলেই বারে বারে একই কৌশল সফল হবে না, মানুষ এই ধাপ্পা ধরে ফেলেছেন। সোমবার দিল্লিতে সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো বৈঠকের মাঝে সাংবাদিকদের একথা বলেছেন পার্টির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
সেলিম বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থীদের শক্তি বাড়ছে। কংগ্রেস এবং আইএসএফ’র মতো শক্তিগুলিকে নিয়ে, তৃণমূল এবং বিজেপি দুই শক্তিকেই হারানোর জন্য মানুষকে এককাট্টা করা হচ্ছে। এরমধ্যে সিএএ নিয়ে মেরুকরণের উদ্দেশ্য তৃণমূল এবং বিজেপি’র মধ্যে ভোট ভাগ করে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আগেই কলকাতায় রাজভবনে বৈঠক করে প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে বোঝাপড়া হয়ে গেছে। এখন প্রধানমন্ত্রী বলবেন সিএএ করব, আর মুখ্যমন্ত্রী বলবেন হতে দেব না। এভাবে বিজেপি আর তৃণমূলে মেরুকরণ করবে! বারবার একই কৌশল কাজে আসে না। মানুষ সচেতন হয়েছেন, কৌশল ধরে ফেলেছেন। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে না, হলেও আগেরবার যেটা ছিল ট্র্যাজেডি, এবার সেটাই হবে কমেডি।
সেলিম বলেন, মানুষ এখন রুটিরুজি নিয়ে চিন্তা করছেন। বিজেপি পুলওয়ামা দেখিয়েছিল আগের ভোটে, এবার সিএএ দেখিয়ে নজর ঘোরাতে পারবে না। সিএএ নিয়ে বাংলায় মানুষকে ভাগাভাগির চেষ্টা করছে বিজেপি এবং তৃণমূল, কিন্তু এটা তো শুধু বাংলার জন্য নয়, সারা দেশের জন্য। পাঁচ বছর দেরি করল কেন রূপায়ণে? একসময়ে বাংলার মতুয়াদের বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী বলেছিল আরএসএস। তারপরে লোভ দেখিয়েছিল তাঁদের নাগরিকত্ব দেবে বলে। কিন্তু দেয়নি, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার উভয়ে মিলে তাঁদের ভুগিয়েছে। এবারও তাঁরা বুঝতে পারবেন, এই আইন তাঁদের জন্য নয়। পশ্চিম পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে যারা লং টার্ম ভিসা নিয়ে এসেছে কেবল তাদের সুবিধার জন্য আইন নিয়ে আসা হয়েছে।
নাগরিকত্ব কাড়ার চেষ্টা হলে প্রতিরোধ হবে জানিয়ে সেলিম বলেছেন, আসামে প্রতিরোধ হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গেও প্রতিরোধ হবে। এখানে ওরা ভয় দেখাতে চাইছে। তার জন্য আসামে ডি ভোটার করেছে, ডিটেনশন ক্যাম্প করেছে। পশ্চিমবঙ্গেও সম্প্রতি আধার ডিঅ্যাক্টিভেট করেছে। আইনত এগুলো করতে পারে না। নতুন কাউকে নাগরিকত্ব দিতে পারো, কিন্তু কারো নাগরিকত্ব ভোটাধিকার কেড়ে নিতে পারো না।
CAA MD SALIM
বললেন মহম্মদ সেলিম, সিএএ’র নামে বিজেপি, তৃণমূলের মেরুকরণের রাজনীতি মানুষ ধরে ফেলেছেন
×
Comments :0