নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, রাজ্যের যেই যেই পঞ্চায়েত প্রধানের দায়িত্ব সমালাচ্ছেন বিবাহিত মহিলারা তাদের এবং তার স্বামীকে প্রশাসনিক কাজ চালানোর জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে সরকারের পক্ষ থেকে।
এই নির্দেশিকা সমানে আসতেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকে বলছেন যে এর মাধ্যমে আসলে স্বামীর হাতেই পঞ্চায়েতের রাশ তুলে দেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য পশ্চিমবঙ্গে প্রথম পঞ্চায়েতে মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষণ করা হয় বামফ্রন্ট সরকারের সময়। তারপর থেকে ‘গ্রামীন সরকার’ চালানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন মহিলারা।
সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘নবান্নে ‘বাংলা চায় তার মেয়েকে’ আর নবান্ন চায় ‘প্রধানপতি’ কে! রামমোহন রায়, বিদ্যাসাগর, কল্পনা দত্ত, গীতা মূখার্জিদের মাটি এই বাংলা। এই বাংলায় এই ধরনের নির্দেশিকার কথা ভাবা যেতো না আগে।’’
তৃণমূল শাসনে একাধিক জায়গায় দেখা গিয়েছে যে স্বামী প্রাক্তন প্রধান তো স্ত্রী বর্তমান প্রধান, স্বামী ব্লক সভাপতি তো স্ত্রী পঞ্চায়েত প্রধান। পৌরসভার ক্ষেত্রে স্বামী প্রাক্তন কাউন্সিলর তো স্ত্রী বর্তমান কাউন্সিলর। এই সব ক্ষেত্রে দেখা গিয়ে স্ত্রীকে সামনে রেখে যাবতীয় কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন স্বামী। এবার সেই বিষয়টাকে প্রশাসনিক শীলমোহর দিতে চাইছে তৃণমূল।
Comments :0