সব স্তরের শ্রমজীবীরাই আক্রান্ত। শ্রমজীবীর ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদের অধিকারও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। সে কারণেই কেন্দ্র শ্রম কোড এনেছে। তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়বে ৯ জুলাইয়ের ধর্মঘট। আগামী প্রজন্মকে বাঁচানোর জন্য দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন শ্রমজীবীরা। মালদহের বিমা কর্মীদের আলোচনা সভায় একথা বলেছেন সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের সহসভাপতি অমিয় পাত্র। 
তিনি বলেছেন, সরকারের নীতির ফলে সরকারি এবং বেসরকারি স্তরে কর্ম সংকোচন হচ্ছে। তার প্রভাব আগামী ওপর পড়ছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচানোর লক্ষ্যে এই ধর্মঘট। 
শনিবার সন্ধ্যায় মালদহ শহরে মনমোহন চিত্রমে (নবীন সিনেমা) বিভাগীয় বিমা কর্মচারী সমিতি, জলপাইগুড়ির মালদহ জোন আয়োজিত ওই সেমিনারের আলোচ্য বিষয় ছিল দেশের সংবিধান রক্ষার লক্ষ্যে সংগ্রাম। সেমিনার পরিচালনা করেন জয়ন্ত চন্দ। সেমিনারে মালদহ জোনের অন্তর্ভুক্ত মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারের শুরুতে সভাপতি জয়ন্ত চন্দ শোক প্রস্তাব পেশ করেন আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত যাত্রী ও স্থানীয় নাগরিক, পহেলগামে সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় নিহত, প্যালেস্তাইনে ইজরায়েলের বর্বরোচিত আক্রমণে নিহত শিশু, নারীদের স্মরণ করে। এই সময়কালে প্রয়াত বিশিষ্টদের স্মরণ করে নীরবতা পালন করা হয়। 
অমিয় পাত্র বলেন দেশে পেট্রোপণ্য, জীবনদায়ী ওষুধ সহ সব নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণ করছে বাজার অর্থনীতি। আর তাতে সহায়তা করছে দেশের সরকার। দাম নিয়ন্ত্রণের যে ক্ষমতা সরকার তুলে দিচ্ছে। ফলে ছোট ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ সর্বস্বান্ত হচ্ছেন। সবই করা হচ্ছে কর্পোরেট হাউসকে সহায়তা করার লক্ষ্যে। সব তুলে দেওয়া হচ্ছে আদাানি আম্বানিদের সহায়তা করতে। 
তিনি বলেন, কৃষক বিরোধী কৃষি আইন ও শ্রমিক বিরোধী শ্রমকোড আইন পাশ করেছিল কেন্দ্র। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার আন্দোলনের তিন কৃষি আইন তুলে নিতে বাধ্য হয়। একই ভাবে শ্রমকোড আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়েছে। ৯ জুলাই ধর্মঘটে শ্রম কোড প্রত্যাহার করার দাবি রয়েছে। সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।