বনাঞ্চলের অধিকার আইনে পাট্টা দাওয়ার কথা। মিলছে না বহুদিন। তার বদলে উচ্ছেদের শিকার আদিবাসীরা। নতুন প্রজন্মের বিকাশ নিয়ে লম্বা চওড়া ভাষণ চলছে। কিন্তু আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপ বন্ধ করে রেখেছে বিজেপি সরকার। 
মধ্য প্রদেশের সৈলনায় এমন একগুচ্ছ দাবি নিয়ে কয়েকশো আদিবাসী বিক্ষোভ দেখালেন মহকুমা শাসকের দপ্তরে। রতলাম জেলায় এই মহকুমায় পাঁচশো বাসিন্দার জমায়েত হয়েছে রীতিমতো টানা প্রচার চালিয়ে।
মধ্য প্রদেশ আদিবাসী একতা মহাসভার ডাকে হয়েছে এই বিক্ষোভ। আদিবাসীদের ব্যাপক স্তরের এই মঞ্চ জানিয়েছে একাধিক মহকুমায় হবে বিক্ষোভ। 
সৈলনা মহকুমায় টানা দু’সপ্তাহ ধরে ১১০ গ্রামে চলেছে প্রচার। প্রায় পাঁচ হাজার লিফলেট বিলি করা হয়েছে গ্রামে গ্রামে। 
মহকুমা শাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভে বক্তারা জানিয়েছেন আদিবাসীদের জমির জন্য আইন থাকা সত্ত্বেও পাট্টা দেওয়া হচ্ছে না। বনাঞ্চলের অধিকার আইনে আদিবাসী সহ বনাঞ্চলের দীর্ঘদিনের বাসিন্দাদের জমির অধিকার পাওয়ার কথা। নানা কারণ দেখিয়ে পাট্টা বিলি বন্ধ। উলটে যখন তখন উচ্ছেদের মুখে পড়তে হচ্ছে। বড় সংকট কাজ না থাকার। মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্ম নিশ্চয়তা প্রকল্পে মজুরি বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করার দাবি তুলেছে আদিবাসীদের মঞ্চ। বছরে ২০০ দিন কাজ দেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপের পাশাপাশি শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যের ন্যূনতম পরিকাঠামো নিশ্চিত করার দাবি তুলেছেন। বক্তব্য রেখেছেন মধ্য প্রদেশ আদিবাসী একতা মহাসভার সভাপতি কান্তিলাল নিনামা। আদিবাসী অধিকার রাষ্ট্রীয় মঞ্চের নেতা রামনারায়ণ কুরারিয়া এবং যশবিন্দর সিং বক্তব্য রেখেছেন। স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে মহকুমা শাসককে। বলা হয়েছে, গ্রামে গ্রামে ঘুরে দাবি অনুযায়ী কাজ করতে হবে। না’হলে ফের বিক্ষোভ হবে।