গিলান ব্যারে সিনড্রোমে আক্রান্ত দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এই ছাত্র বারাসতের প্যারীচরণ সরকার রাষ্ট্রীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়া। কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল এই ছাত্র।
মহারাষ্ট্রের পুনেতে এই রোগ গিলান ব্যারে বা গুলেন বেরি সিনড্রোম ধরা পড়ে কয়েকদিন আগে। রাজ্যে সোমবার একাধিক আক্রান্তের তথ্য পাওয়া যায়। মঙ্গলবার এক ছাত্রের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। চিকিৎসকরা যদিও বলেছেন যে এই রোগ নতুন নয়।
পরিবার জানিয়েছে গত ২২ জানুয়ারি সমস্যার কথা জানিয়েছিল ওই ছাত্র অরিত্র মণ্ডল। উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙার টাবাবেরিয়ে গ্রামের বাসিন্দা সুশান্ত মণ্ডল পেশায় দিনমজুর। তাঁর স্ত্রী মালবিকাদেবী গৃহবধূ। ওই দম্পতির একমাত্র সন্তান অরিত্র। পরেরদিন হাত পা অসাড় হতে থাকে। স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে নিয়ে আসা হয় কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে।
পরিবার জানিয়েছে শুক্রবার সিসিইউ-তে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার সকালে মৃত্যু হয় তার। মৃতের মা জানিয়েছেন যে ডেথ সার্টিফিকেটে গিলান ব্যারে সিনড্রোমের উল্লেখ রয়েছে। তাঁর অভিযোগ, একটি ইঞ্জেকশনের প্রয়োজন ছিল। হাসপাতালে সরবরাহ না থাকায় বাইরে থেকে কিনে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু হাসপাতাল সেই অনুমতি দেয়নি।
এই রোগে আক্রান্ত অন্য দুই শিশুর চিকিৎসা চলছে কলকাতার পার্ক সার্কাসে ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথে। তাদের একজনের বয়স আট, আরেকজনের নয়। স্বাস্থ্য দপ্তরের বক্তব্য, এই রোগ বিরল নয়। এবারই প্রথম আক্রান্ত হয়েছে কেউ এমনও নয়।
মহারাষ্ট্রের পুনেতে এই রোগে শতাধিক শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। একজনের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রোগ দ্রুত ছড়িয়ে দেয় যে ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায় দূষিত জলে। অনেকসময় সঠিকভাবে রান্না না হওয়া পোলট্রি খাদ্যেও পাওয়া যায়।
guillain barre syndrome death Kolkata
সংক্রামক স্নায়ুরোগে আক্রান্ত ছাত্রের মৃত্যু কলকাতার হাসপাতালে
×
Comments :0