শহরের জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১০ জন নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিইএসসি-র কাছে রিপোর্ট তলব করলো কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার এই ঘটনা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনা নিয়ে সিইএসসিকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। শহরের নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সেই নিয়ে রিপোর্ট দিতে হবে কলকাতা পৌরসভাকেও। মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ নিয়ে অবস্থান জানাতে হবে রাজ্যকে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৭ নভেম্বর। 
সোমবার রাতের পাঁচ ঘন্টা বৃষ্টিতে জল জমে যায় গোটা শহরে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। এই ঘটনার পর রাজ্য সরকার এবং পৌরসভা দায় সিইএসসির দিকে ঠেলছে। পাল্টা সিইএসসির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে রাস্তায় যেই বাতিস্তম্ভ গুলো আছে সেই গুলো দেখভালের দায়িত্ব তাদের নয় পৌরসভার।
গতকাল এই ঘটনার প্রতিবাদ ধর্মতলা থেকে কলেজ স্ট্রিট পর্যন্ত মিছিল করে কলকাতার বামপন্থী দলগুলো সেখানে কলকাতা জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক এবং সিপিআই(এম) জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদার বলেছেন, বৃষ্টি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়েছে। কিন্তু এবারই তা প্রথম নয়, এবারই সর্বোচ্চ নয়। ভুল তথ্য দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার চেয়েও বড় কথা সকাল থেকে একের পর এক মানুষের মৃত্যু বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে। সিইএসসি’র ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশ্ন হলো ব্যবস্থা কী নিয়েছেন। নির্বাচনী বন্ডে তৃণমূলকে টাকা দিয়েছে এই সিইএসসি’র মালিকরা। দায় এড়াতে পারবেন না মুখ্যমন্ত্রী, দায় এড়াতে পারবেন না মেয়র।
High Court
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় আদালতের কাছে রিপোর্ট দিতে হবে সিইএসসি, পৌরসভা এবং রাজ্যকে
                                    
                                
                                    ×
                                    
                                
                                                        
                                        
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
Comments :0