Post editorial

এই আন্দোলন অভূতপূর্ব সেই সঙ্গে শিক্ষণীয়

উত্তর সম্পাদকীয়​

অশোক ভট্টাচার্য

তিলোত্তমার নারকীয় হত্যা ও ধর্ষণের ন্যায়বিচারের দাবিতে উত্তাল বাংলা, উত্তাল সারা দেশ ।  ইতিমধ্যেই এই আন্দোলন মাসাধিককাল পেরিয়ে গেছে। প্রতিদিনই সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছে এই আন্দোলনে। আন্দোলনকারীদের সংখ্যা বাড়ছে রোজই। 
যতদিন যাচ্ছে তত এই আন্দোলনকে দীর্ঘকালের একজন বামপন্থী রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে বোঝার চেষ্টা করছি। সাধারণভাবে বুঝতে পারছি এই আন্দোলনের চরিত্র সামাজিক,স্বতঃস্ফূর্ত ও অরাজনৈতিক । এই আন্দোলনে মহিলাদের প্রাধান্য ও নেতৃত্ব অনঃস্বীকার্য। এককথায় অভূতপূর্ব। যারা এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করছে তারা করছে হৃদয়ের টানে। কারুর নির্দেশে নয়, নিয়ন্ত্রণে নয়। খুব নিবিড়ভাবে আন্দোলনকারীদের চোখে মুখে দেখতে পারছি, এদের মধ্যে আছে আন্দোলনের এক স্পৃহা ও আবেগ । জনগণের যে কোনও আন্দোলনের জন্য দরকার একটি স্পৃহা, সৃজনশীলতা ও স্বতঃস্ফূর্ততা। তা এই আন্দোলনের মধ্যে রয়েছে। 
এই আন্দোলন অরাজনৈতিক প্রকৃতির হলেও আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে উন্নত রাজনৈতিক চেতনা ব্যতীত দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হতো না। এই আন্দোলনকারীরা আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে স্লোগান দেওয়া বা স্লোগানের বাক্যবন্ধ আয়ত্ত করে নিচ্ছে । রাজ্যের একপ্রান্ত  থেকে অন্যপ্রান্ত পর্যন্ত একের সাথে অন্যের কোনও পরিচিতি নেই, নেই কোনও সাংগঠনিক যোগাযোগ। আমার ধারণায় এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এই মুহূর্তে জেগে উঠেছে একটি সিভিল সোসাইটি বা নাগরিক সমাজ। নীরবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে একটি হেজিমনি বা আধিপত্য। যার কোনোটাই দৃশ্যমান নয়। 
এই আন্দোলন রাজনৈতিক আন্দোলন না হলেও প্রায় একই দাবিতে বামপন্থী সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ট্রেড ইউনিয়ন, গণসংগঠন, সামাজিক সংস্থাগুলিও তাদের মতো করে চালিয়ে যাচ্ছে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন। হতে পারে তা রাজনৈতিক, তবে মূল আন্দোলনের ওপর তাদের নেই কোনও কর্তৃত্ব। বামপন্থীরা পৃথকভাবে আন্দোলন করলেও তা সমান্তরাল নয়, বরং পরিপূরক। এই সবটা নিয়ে এই আন্দোলন কোনও নারীবাদী বা ফ্যামিনিস্ট আন্দোলনও নয়। তবে আন্দোলনকারী অনেক মহিলাদের কথা শুনে মনে হয়েছে, তারা প্রশ্ন তুলছে আমাদের দেশে লিঙ্গ বৈষম্য বা লিঙ্গ অসাম্য ও পুরুষতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে। পারিবারিক, সামাজিক,প্রশাসনিক, রাজনৈতিকভাবে সমাজে এখনও যে মহিলাদের প্রতি অবহেলা, অবজ্ঞা বা তাচ্ছিল্যের মনোভাব রয়েছে তা সমস্ত আন্দোলনকারীরাই মনে করে। দেখা যাচ্ছে অনেক আন্দোলনকারীদের মধ্যে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতি কোনও আস্থা না থাকা। কেউ কেউ মনে করেন রাজনৈতিক দলগুলি তাদের দৈনন্দিন রাজনৈতিক কার্যকলাপে বা নির্বাচনী ইশ্‌তেহারে লিঙ্গ বৈষম্যের বিষয়টি যথাযথ গুরুত্বের সাথে উত্থাপন করে না। যদিও সংসদীয় গণতন্ত্রে রাজনৈতিক দলের ভূমিকা অনঃস্বীকার্য। যতদিন যাচ্ছে ততই বহু মহিলা আন্দোলনকারীরা বুঝতে পারছে মহিলাদের ওপরে নির্যাতনের সব ঘটনা ও বিষয়গুলির সাথে যুক্ত রাজ্য বা দেশের উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতি এবং লুম্পেনরাজ । এসব ঘটনার জন্যে তাদের অনেকেই সরাসরি অভিযুক্ত করছে প্রশাসনের বা রাজনৈতিক ক্ষেত্রের উচ্চ স্তরকে। তারা আওয়াজ তুলছে তাদের মতো করে আর জি করে মাথা ধরো। তারা আওয়াজ তুলছে পুলিশ-প্রশাসন, শিক্ষা,স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সার্বিক দুর্নীতির বিরুদ্ধেও। এদের মধ্যে রয়েছে বহু পুঞ্জীভূত ক্ষোভ, তারই প্রতিফলন ঘটেছে এই আন্দোলনে। এই আন্দোলন অবশ্যই অভূতপূর্ব। অনেকের মধ্যে প্রশ্ন থাকতে পারে একটি অরাজনৈতিক ও স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন কত দূর পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে? যদিও আন্দোলনকারীদের প্রতিবাদী স্পৃহা ও সাহস দেখে  আমার বিশ্বাস ন্যায় বিচার না পাওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। তার ব্যাপ্তিও ‌অনেক বড়। কারণ তারা শুধু তিলোত্তমার বিচারই চায় না, তারা আমাদের রাজ্য বা দেশে মেয়েদের নিরাপত্তার অভাব বোধ করছে। যদিও একজন বামপন্থী কর্মী হিসাবে আমি মনে করি এই সমস্ত ঘটনার সাথে যুক্ত নব্য উদারীকরণ আর্থিক নীতি, পুঁজিবাদী ব্যবস্থা ,মূল্যবোধ ও সামাজিক অবক্ষয়, উগ্র দক্ষিণপন্থী রক্ষণশীল মৌলবাদী পুরুষতান্ত্রিক ব্যবস্থা। লিঙ্গ বৈষম্য দূর করার প্রশ্নের সাথে যুক্ত এই অসম সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার অবসান। আন্দোলনকারী অনেক মেয়েদের মুখ থেকে শুনেছি ওরা সিস্টেমিক বা কাঠামোগত পরিবর্তন চায়। শুনে ভালো লাগছে। আমরা যদি আমাদের দেশের বা বাংলার বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকাই, তবে দেখতে পারবো স্বাধীনতা আন্দোলন, বহু সমাজ সংস্কার বা সামাজিক আন্দোলন, আবার কৃষক-শ্রমিকদের বিদ্রোহ বা আন্দোলনের বহু ইতিহাস। আবার এমনও অনেক স্থানীয় আন্দোলন বা বিদ্রোহ ভারতে বা বাংলায় সংঘটিত হয়েছে যার কথা ইতিহাসে লেখা নেই । 
এই সমস্ত আন্দোলনের কথা উল্লেখ করলে লিখতে হয় অবশ্যই দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন, বহু সামাজিক আন্দোলন, বাংলার নবজাগরণ ও সমাজ সংস্কারমূলক আন্দোলনের কথা। দেশের এই সমস্ত আন্দোলনে নারীদের অংশগ্রহণ কতটা ছিল বা কতটাই ছিল তা স্বতঃস্ফূর্ত ? এ নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। আমাদের দেশের বহু কৃষক আন্দোলন হয়েছে জমিদার বা জোতদারদের বিরুদ্ধে, গ্রামের মহাজনদের সুদের হারবৃদ্ধি ও রাজস্ব হার হ্রাসের দাবিতে, জমিদারদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে, বর্গাদারদের জমি থেকে উচ্ছেদের বিরুদ্ধে, সর্বোপরি জমিদারি প্রথার বিলুপ্তি ও ভূমি সংস্কারের দাবিতে বহু কৃষক বিদ্রোহ ও আন্দোলন হয়েছে। এছাড়াও অনগ্রসর শ্রেণী ও দলিতদের সামাজিক অগ্রগতির দাবিতে বহু আন্দোলন হয়েছে। যেমন ১৯৮৯ সালে মণ্ডল কমিশনের সুপারিশ নিয়ে দলিত সমাজের আন্দোলন। আন্দোলন হয়েছে পরিবেশ ও প্রকৃতির সুরক্ষার দাবিতে। আবার পরিচিতি সত্তার দাবি নিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে বহু আন্দোলন হয়েছে। এই সমস্ত আন্দোলনগুলিতে মহিলাদের অংশগ্রহণ অবশ্যই ছিল, কিন্তু মহিলাদের সবক্ষেত্রে সমানভাবে ছিল না। বাংলায় ১৮৫৯ সালের নীল বিদ্রোহ বা ১৮৭৩ সালের পাবনার জমিদারদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কথা আমরা জানি। স্বাধীনতার প্রাক্কালে ১৯৪৬ সাল থেকে বাংলার কৃষকদের আন্দোলন, যে আন্দোলন থেকে আওয়াজ উঠেছিল ফসলের দুই তৃতীয়াংশ দিতে হবে। যে আন্দোলনকে বলা হয় তেভাগা আন্দোলন। এই আন্দোলনের কথা ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে। ১৯৪৬-১৯৪৮ সাল পর্যন্ত নিজাম সামন্ততন্ত্রের বিরুদ্ধে তেলেঙ্গানাতে সংগঠিত হয়েছিল তীব্র কৃষক বিদ্রোহ ও আন্দোলন। এই দুটি আন্দোলনই সংগঠিত হয়েছিল কৃষকসভা তথা ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে। এই দুই আন্দোলনেই নারীদের অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য। ১৯৬৭ সালে পশ্চিমবঙ্গে নকশালবাড়ি থেকে যে নকশালপন্থী কৃষক আন্দোলন শুরু হয়েছিল, অচিরেই তা হয়েছিল বিপথগামী ও হতাশাগ্রস্ত। বাংলায় ১৮০০  থেকে ১৯১৫ সাল পর্যন্ত সতীদাহ প্রথার অবসান, বিধবাদের পুনঃবিবাহের আইন প্রণয়ন, বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধ, নারী শিক্ষা ইত্যাদি দাবিতে যে সামাজিক আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল তাকে বলা হয় বাংলার নবজাগরণ। সেই জাগরণ আন্দোলন নারী সমাজের জন্য হলেও সেই আন্দোলন পরিচালিত হয়েছিল মূলত রামমোহন রায়,ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, অক্ষয়কুমার দত্ত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রমুখের উদ্যোগে। এই সামাজিক সংস্কার আন্দোলন ইংরেজদের ওপরে এই সমস্ত দাবিতে আইন তৈরির জন্যে চাপ সৃষ্টি করেছিল। সেই সামাজিক আন্দোলনে মহিলাদের উল্লেখযোগ্য কোনও অংশগ্রহণ হয়ত বা ঘটেনি। যদিও তৎকালীন সামাজিক পরিস্থিতিতে কোনও সামাজিক আন্দোলনেই মহিলাদের অংশগ্রহণ ছিল কঠিন। 
১৯১৫ থেকে ১৯৪৭ সালে মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে স্বাধীনতা আন্দোলনে বহু নারীরা অংশগ্রহণ করেছিলেন। তখন থেকেই বহু নারী সন্ত্রাসবাদী বিপ্লবী  আন্দোলনেও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। মহাত্মা গান্ধী গড়ে তুলেছিলেন বহু স্থানীয় মহিলা সমিতি। তিনি নানাভাবে মহিলাদের উৎসাহিত করেছিলেন আইন অমান্য আন্দোলনে অংশগ্রহন করতে। পরবর্তীকালে ভারতে লিঙ্গ সমতা, নিম্নবর্ণের মহিলাদের সমান অধিকার মর্যাদা, সমকাজে সমান মজুরি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ইত্যাদি বিষয়ে ভারতের বিভিন্ন স্থানে নারী আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোসের নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ ফৌজেও বহু মহিলারা যুক্ত হয়েছিল। স্বাধীনতার পর খাদ্যের দাবিতে ১৯৫৯ ও ১৯৬৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে বহু মহিলারা অংশগ্রহণ করেছিল। তবে ১৯৪৬ -৫২ সাল পর্যন্ত বাংলায় তেভাগা আন্দোলনে সবচাইতে বেশি মহিলারা অংশগ্রহণই শুধু নয় তারা পালন করেছিল এক সাহসিক ভূমিকা। মহিলা নেত্রী ইলা মিত্রের ওপর কারাগারের মধ্যে যে নারকীয় অত্যাচার করা হয়েছিল সেই ইতিহাস আমরা জানি। বন্দি মুক্তির দাবিতে মহিলাদের আন্দোলনের ওপরে পুলিশের গুলি চালনায় চারজন মহিলাকে হত্যা করা হয়েছিল। সেই ইতিহাসও আমাদের জানা। ১৯৭২ সালে গুজরাটে এলা ভাটের উদ্যোগে মেয়েদের নিয়ে স্ব-নির্ভর গোষ্ঠী গঠন করে রোজগার সৃষ্টি করার ব্যবস্থা করতে গড়ে তোলা হয়েছিল সেওয়া সংস্থা। মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে ১৯৭০ সালে সংগঠিত হয়েছিল মহারাষ্ট্র ও গুজরাটে এক বিরাট মহিলা আন্দোলন। যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সমাজবাদী নেত্রী মৃণাল গোরে। পরে ওই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গঠিত হয়েছিল সমস্ত স্তরের মহিলাদের নিয়ে একটি সংস্থা। এই আন্দোলন পরে পরিণত হয়েছিল লিঙ্গ বৈষম্যর বিরুদ্ধে ও জাতপাতের বিরুদ্ধে নারী সমতার পক্ষে আন্দোলন। মন্দিরে প্রবেশাধিকারের দাবিতে কেরালার মহিলাদের আন্দোলন অবশ্যই শিক্ষণীয় ।  
তিলোত্তমা আন্দোলনের সাথে অতীতের অনেক আন্দোলনের পার্থক্য হলো সেগুলো ছিল মূলত সংগঠিত বা রাজনৈতিক উদ্যোগে। সেখানের স্বতঃস্ফূর্ততা থেকে সংগঠনের ভূমিকা ছিল অনেক বড়। অন্যদিকে তিলোত্তমা আন্দোলন কোনও সংগঠিত উদ্যোগ নয় এই আন্দোলন মূলত স্বতঃস্ফূর্ত। এটা ঠিক জনগণের যে কোনও আন্দোলনই স্বতঃস্ফূর্ততার একটি বড় ভূমিকা থাকে। বিশেষ করে তাতে মহিলাদের যদি স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ঘটে। 
উত্তরবঙ্গে অনেক চা বাগান শ্রমিকদের আন্দোলন দেখেছি। চা বাগানগুলিতে সাধারণভাবে মহিলা শ্রমিকরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। এই আন্দোলনের তীব্রতা তখনই বৃদ্ধি পায় যখন মহিলা চা শ্রমিকদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে বেশি সংখ্যায় অংশগ্রহণ ঘটে। একই চিত্র দেখেছি দার্জিলিঙ পাহাড়ে পরিচিতি সত্তার প্রশ্নের আন্দোলনে। যদিও তিলোত্তমা আন্দোলন ওপরের আন্দোলনের সাথে সমগোত্রীয় নয়। যতোটা সম্ভব নিবিড়ভাবে এই আন্দোলন পর্যবেক্ষণ করে আমার মনে হয়েছে এই আন্দোলন স্বতঃস্ফূর্ত ও আবেগ নির্ভর। আন্দোলনকারীদের মধ্যে আন্দোলন করার একটি স্পৃহা আছে। এদের স্লোগান দেওয়া ও তাতে সাড়া দেওয়ার মধ্যে রয়েছে সৃজনশীলতা। এই আন্দোলন ও দাবিদাওয়া নিয়ে সংবাদ মাধ্যম বা বৈদ্যুতিক গণমাধ্যমে যারা সাক্ষাৎকার দিচ্ছে বা মুখ খুলছে তাদের অনেকেই মহিলা। যাদের কোনও অতীত রাজনৈতিক বা আন্দোলনগত অভিজ্ঞতা নেই। যা বাংলা বা আমাদের দেশে সাধারণভাবে দৃশ্যমান নয় । 
এদের স্লোগান দেওয়া বা গণসঙ্গীত বা রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইবার মধ্যে একটি বাম মনস্কতা রয়েছে। জুনিয়র ডাক্তাররাও যে আন্দোলন করেছে তাও অনেক প্রশংসনীয়। আমাদের আরও গভীরে গিয়ে চর্চা করা প্রয়োজন, এই চলমান  আন্দোলন নিয়ে। সারাদেশে মহিলারা বহু আন্দোলনে সংগঠিত হয়েছেন। যদিও তিলোত্তমা আন্দোলন অবশ্যই অভূতপূর্ব এবং শিক্ষণীয়।

Comments :0

Login to leave a comment