১৯৯০ সালে তৎকালীন পশ্চিম জার্মানি তৃতীয় বারের জন্য ফুটবল বিশ্বকাপ জেতে। সেই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন ক্লিনসম্যান। অপরদিকে পাওলো বেন্টোর হাত ধরে ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপের নক-আউট পর্যায় পা রাখে দক্ষিণ কোরিয়া। কিন্তু প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় দক্ষিণ কোরিয়া। তারপরেই কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ান বেন্টো।
দক্ষিণ কোরিয়ার ফুটবল ফেডারেশন সূত্রে খবর, ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ অবধি চুক্তি করা হয়েছে ক্লিনসম্যানের সঙ্গে। দক্ষিণ কোরিয়া টানা ১০টি ফুটবল বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে এসেছে। ক্লিনসম্যানের উপর স্বাভাবিক ভাবে প্রথম থেকেই যথেষ্ট প্রত্যাশার চাপ থাকবে।
খেলোয়াড় জীবন থেকে অবসর নেওয়ার পরে ক্লিনসম্যান কোচিং করানো শুরু করেন। ২০০৬ ফুটবল বিশ্বকাপে তিনি জার্মানির জাতীয় দলের কোচ ছিলেন। ঘরের মাঠের সেই বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে পৌঁছয় জার্মানি। পরবর্তীকালে নিজের ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের হয়েও কোচিং করিয়েছেন ক্লিনসম্যান।
দক্ষিণ কোরিয়ার কোচি হিসেবে ক্লিনসম্যানের প্রথম প্রতিপক্ষ কলম্বিয়া। ২৪ মার্চ এই ম্যাচ খেলা হবে। ২০২৬ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনের পাশাপাশি ২০২৪ সালের এশিয়া কাপের চাপও সামলাতে হবে ক্লিনসম্যানকে। ১৯৬০ সালের পরে আর এশিয়া কাপ জিততে পারেনি দক্ষিণ কোরিয়া। সেই খরা কাটানোর জন্যও তাঁর উপর ভরসা রাখছে দক্ষিণ কোরিয়ার ফুটবল কর্তারা।
Comments :0