Modi

গরীবের জন্য কি করেছেন বলতে পারছেন না মোদী, ঢাল করছেন ‘লক্ষী’কে

জাতীয়

তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর আগামীকাল প্রথম পূর্নাঙ্গ বাজেট পেশ করতে চলেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। তার আগে সংসদ ভবনের সামনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখে উঠে এলো ধর্মী সুড়সুড়ি থেকে আত্মনির্ভর ভারতের কথা। 
এদিন মোদী বলেন, ‘‘বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে আমি দেবী লক্ষীকে প্রনাম জানাতো চাই। দেশের গরীব, মধ্যবিত্ত মানুষের উন্নতি হোক এই প্রার্থনা করি।’’ কে এই কথা বলছেন? নরেন্দ্র মোদী। যিনি ২০১৪ সাল থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী। তার সময়কালে ব্যাপক ভাবে বেড়েছে জিনিসের দাম, বেকারত্ব। জিএসটির নাম করে যিনি গরীব এবং মধ্যবিত্ত মানুষের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে করের বোঝা। যিনি দশ বছর আগে কালো টাকা ফিরিয়ে আনার কথা বলেছিলেন, কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে তার শাসন কালেই দেশের মানুষের পকেট কেটে কর ফাঁকি দিচ্ছে আদানি আম্বানি। একদিন সরকারের বন্ধু আদানি আম্বানি যখন বড়লোক হচ্ছে তখন দেশের গরীব কৃষক ফসলের দাম না পেয়ে আত্মহত্যা করছে। বেকার যুবক কাজ পাচ্ছে না। গরীব মানুষ মজুরি পাচ্ছে না। জিনিসের দাম বাড়ছে আর সরকার কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

মোদী সরকার যৌথ খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে চাল, ডাল, তেলের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী। যার কোন লাগাম নেই এই সব জিনিসের দামের ওপরে।
প্রধানমন্ত্রী বাজেটের আগে হিন্দু দেবতার নাম মুখে এনে হিন্দুত্বের জিগির তুলতে চাইছেন। কিন্তু সরকার গরীব মানুষের জন্য কি কাজ করেছে সেই নিয়ে কোন কথা বলতে পারলেন না। 
উল্লেখ্য গত বাজেট গুলোয় দেখা গিয়েছে কর্পোরেটদের ট্যাক্সে ছাড় দিয়েছে মোদী সরকার কিন্তু গরীব কৃষকের ঝণ তারা মুকুব করেনি।
এদিন মোদী দাবি করেছেন এই বাজেট বিকশিত ভারতের পথে দেশকে এগিয়ে দেবে। তিনি দাবি করেছেন কেন্দ্র এবং রাজ্য গুলো একসাথে যৌথ ভাবে কাজ করে দেশকে উন্নতির পথে নিয়ে যাওয়ার দীশা দেখাবে এই বাজেট। যেই প্রধানমন্ত্রী এই কথা বলছেন তার সময়ই একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে যার জেরে রাজ্য গুলোর ক্ষমতা খর্গ করা হয়েছে। আঘাত আনা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয়।

Comments :0

Login to leave a comment