MODI

দর্শনার্থীদের মৃত্যু নিয়ে নীরব, কুম্ভের আয়োজনে কোন খামতি থাকলে তার জন্য ক্ষমা চাইলেন মোদী

জাতীয়

কুম্ভ মেলার আয়োজনে কোন ভুল হয়ে থাকলে তার জন্য ক্ষমা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু মৌনি অমাবস্যার দিন পদপিষ্ট হয়ে ৩০ জন দর্শনার্থীর মৃত্যু এবং দিল্লি স্টেশনে পদপিষ্টের ঘটনা নিয়ে একটি শব্দও খরচা করলেন না তিনি।

বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে কুম্ভ মেলা। এদিন এক্সহ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘‘কুম্ভ মেলা শেষ হয়েছে এই আয়োজনে এবং উপাচারে কোন ভুল যদি হয়ে থাকে তার জন্য মা গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতীর কাছে ক্ষমা চাইছি। সেই সব দর্শনার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইছি যাদের সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে।’’

উল্লেখ্য এই কুম্ভ মেলাকে অনেক আখড়ার সাধু ‘ভিআইপিদের কুম্ভ মেলা’ বলে কটাক্ষ করেছেন। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে মহামণ্ডলেশ্বর প্রেমানন্দ বলেন, ‘প্রশাসন ব্যাস্ত ছিল ভিআইপিদের জন্য। কুম্ভ মেলা, মেলা সংক্রান্ত কোন বিষয় তাদের নজর ছিল না। বার বার বলা হয়েছিল সেনার হাতে কুম্ভমেলা ছেড়ে দেওয়ার জন্য কিন্তু তারা তা করেনি। সেনার হাতে গোটা ব্যবস্থা থাকলে আজ এই পরিস্থিতি তৈরি হতো না।’ 

মৌনি অমাবস্যায় পদপিষ্টের ঘটনার পর তারা জানান যে সরকারি অব্যবস্থার জন্য এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাদের অনেকে বলেন, যেই অস্থায়ী প্যাটন ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে সঙ্গমঘাটে সেই গুলোর প্রায় সব ভিআইপিদের জন্য। একটি মাত্র বরাদ্দ ছিল সাধারণের জন্য। যার জেরে ঘটে দুর্ঘটনা। ওই ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী কুম্ভে যান। সেদিনও তিনি নীরব ছিলেন। ব্যস্ত ছিলেন স্নানে।

তিনি দাবি করেছেন যোগী প্রশাসনের উদ্যোগে এবং সহযোগিতায় এই কুম্ভ মেলা সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন ৬৬ কোটি দর্শনার্থী এবার কুম্ভ মেলায় এসেছেন। তার কথায় এই মেলা গোটা বিশ্বের কাছে নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে। 

এবছরের কুম্ভ মেলাকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় জিগির তোলার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। প্রচার করা হয়েছিল ১৪৪ বছরে এই যোগ কখনও আসেনি। তবে বিজেপির আইটি সেলের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সাধুরা। তাদের দাবি এই প্রচার মিথ্যা। 

জলের বিষাক্ত ব্যাক্টেরিয়া থেকে একাধিক বার তাঁবুতে আগুন লাগা একাধিক ঘটনার সাক্ষী থেকে এবারের কুম্ভ। কিন্তু এদিন এই সব নিয়ে কোন কথা বলেননি মোদী। 

Comments :0

Login to leave a comment