প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তানের সাথে কোন ব্যবসা হবে না, কথা হবে না। কথা হলে শুধুমাত্র পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে কথা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মোদীর শরীরে রক্ত নয়, সিঁদুর বইছে।’ বোঝাই যাচ্ছে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে দেশের মানুষের যেই আবেগ তাকে রাজনৈতিক ভাবে কাজে লাগাতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি।
উল্লেখ্য পহেলগাম হামলা এবং অপারেশন সিঁদুরের পর থেকেই সেনা বাহিনীর এই অভিযানকে রাজনৈতিক রঙ দিতে মোরিয়া বিজেপি এবং আরএসএস। এর পাশাপাশি ছড়ানো হচ্ছে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের বিষ। ২২ এপ্রিলের ঘটনার পর যখন প্রথম সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয় তাতে ছিলেন না মোদী। বিহারে রাজনৈতিক জনসভায় ব্যাস্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দ্বিতীয় স্রবদলীয় বৈঠকেও ছিলেন না নরেন্দ্র মোদী। যুদ্ধ বিরতি ঘোষনা হওয়ার পর দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষন দিয়েছেন কিন্তু নীরব থেকেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গে।
এদিন প্রধানমন্ত্রী রাজস্থানে যেই ভাষন দিয়েছেন তাতে স্পষ্ট সেনার থেকে অপারেশন সিঁদুরের কৃতিত্ব নিজের দিকে নিতে চাইছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী আজ যখন এই ভাষন দিচ্ছেন তখন পহেলগাম ঘটনার একমাস পূর্ণ হচ্ছে। একমাস পার হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত ঘটনায় মূল যেই চারজন অভিযুক্ত তারা এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। কোথায় আছে জানা যায়নি। কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের ভীড়ে মিশে গিয়েছে নাকি অন্যত্র কোথাও চলে গিয়েছে তার কোন উত্তর নেই। প্রধানমন্ত্রীর ভাষনেও স্বাভাবিক ভাবে এই প্রসঙ্গে একটা কথাও শোনা যায়নি।
Comments :0