SC on VC appointment

স্থায়ী নিয়োগই হবে উপাচার্যদের, রাজ্যকে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট

রাজ্য

অস্থায়ী নয়, পশ্চিমবঙ্গের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়েই স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করতে হবে। অস্থায়ী উপাচার্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চালানো যাবে না। রাজ্যের উপাচার্য নিয়োগ মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ২৯ জুলাইয়ের রায়েই বিষয়টি স্পষ্ট করেছে শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্ট উপাচার্য বাছাইয়ের প্যানেলের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে ৮ জুলাই। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ইউইউ ললিতের নেতৃত্বে কমিটি তৈরি করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং রাজ্য সরকারের দ্বন্দ্ব নিরসনে উপাচার্য খোঁজ এবং বাছাইয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়। 
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাছাইয়ে পাঁচ সদস্যের আলাদা কমিটি থাকবে। এই সব কমিটিই আবার ললিত কমিটির অধীনে কাজ করবে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের জন্য তিনজন করে নাম বাছাই হবে।  তবে নামের ক্রমতালিকা হবে নামের আদ্যক্ষরের ভিত্তিতে। যোগ্যতার সূচক হিসেবে ক্রমতালিকাকে ধরা হবে না। এই প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যে উপাচার্য নিয়োগে জটিলতা তৈরি হয়েছে রাজভবন এবং সরকারের দ্বন্দ্বে। উচ্চশিক্ষায় এই পরিস্থিতি তৈরির কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে বামপন্থী দলগুলি। কেন্দ্রে আসীন বিজেপি সরকার বিভিন্ন রাজ্যেই রাজভবনকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হস্তক্ষেপ করছে। বামপন্থীরা এই নীতির বিরুদ্ধে সরব। আবার এরাজ্যে তৃণমূল সরকারের মেয়াদে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং স্বশাসিত নিয়ামক সংস্থাগুলির গণতন্ত্র ভেঙে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের এমন পদক্ষেপে বারবার প্রতিবাদ জানিয়েছে বামপন্থীরা। 
সুপ্রিম কোর্টে উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা রয়েছে বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে। 
নির্দেশে বলা হয়েছে, কমিটি গঠনের জন্য রাজ্য এবং রাজ্যপালের প্রস্তাবের বাইরে নাম থাকলে চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ইউইউ ললিতকে তা পাঠানো যাবে। আইন বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘লাইভ ল’ জানাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের বাছাই কমিটি বিশেষজ্ঞ নিজের সিদ্ধান্তে নিয়োগ করতে পারবেন। 
বেঞ্চ বলেছে, ‘‘আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যদের অবসরের বয়স ৬৫ থাকবে। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০ বছর পর্যন্ত কাজের মেয়াদ হবে উপাচার্যদের। সার্চ কমিটির ৮ সদস্য উপাচার্য পদের জন্যও আবেদন করেছিলেন। তাঁদের সার্চ কমিটি  থেকে বাদ দিয়েছে বেঞ্চ। রাজ্য সরকার এবং রাজ্যপালের প্রস্তাবের ভিত্তিতে শিক্ষাবিদদের নাম নেওয়া হয়েছে। 
জানা গিয়েছে, রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান গৌতম পাল, প্রাক্তন উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্র, কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান দীপক কর, প্রাক্তন উপাচার্য শিবাজী প্রতীম বসু, প্রাক্তন উপাচার্য দেবনারায়ণ ব্যানার্জির নাম রয়েছে। আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সজল নাগ, রথীন ব্যানার্জি এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তের নামও রয়েছে এই আটজনের তালিকায়।

Comments :0

Login to leave a comment