মুর্শিদাবাদের ফারাক্কায় শিশুর বস্তা বন্দী দেহ উদ্ধার হয়েছে রবিবার। এদিন সকাল থেকেই নিখোঁজ ছিল ৯ বছর বয়সের ওই শিশু। বেলা ১২ টা নাগদ এক ব্যক্তির ঘর থেকে উদ্ধার হয় বস্তাবন্দী দেহ।

জানা গিয়েছে ওই শিশু এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। দিন কয়েক সেখানেই ছিল। প্রতিদিনের মতো এদিন সকালেও ফুল তুলতে বের হয়েছিল। একটি বাড়ির সামনেও যায় সে। এরপর কেউ তাঁকে দেখেনি। বেলা বাড়তে শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। পাড়ার দুর্গাপুজো মণ্ডপ থেকেও ঘোষণা হয়। 

স্থানীয়দের সন্দেহ হয় দীনু হালদার নামের এক ব্যক্তির উপর। স্থানীয়দের দাবি, দীনু হালদারের বাড়ির কাছেই দেখা গিয়েছিল ওই শিশুকে। দীনু হালদার সকাল জানিয়েছিল যে ওই শিশুকে সে দেখেনি। পরে গ্রামের মানুষ তাঁকে চেপে ধরলে অসংলগ্ন কথা বলতে শুরু করে সে। ঘরের ভিতরে শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। ঘরে আলমারির পাশে একটি বস্তায় উদ্ধার হয় শিশুর দেহ। স্থানীয়রা চড়াও হয় বাড়ি মালিকের উপর। করা হয় মারধরও। স্থানীয়রা ওই শিশুকে নিয়ে যায় স্থানীয় হাসপাতালে। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। 

গ্রামের মানুষ এই ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন। ফারাক্কা থানার সামনে এসে বিক্ষোব দেখান গ্রামের মহিলারা। দাবি জানান, সঠিক তদন্তের। পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রামের মানুষকে বলা হয়েছে ম্যাজিস্ট্রেতের উপস্থিতিতে দেহ পরীক্ষা হবে। ময়নাতদন্ত নিয়ম মেনে হবে। গ্রামে মোতায়েন রয়েছে পুলিশের বাহিনী। 

শিশুর বাবা বলেন “ কালও এসে দেখে গেলাম মেয়ে ঠিক আছে। আজ কাকা বলল মেয়েকে পাওয়া যাচ্ছে না। এসে শুনলাম এই ঘটনা, মেয়েকে মেরে বস্তায় ভরে দিয়েছে”।