প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ঘিরে তপ্তই রইল বিহার। বিহারের পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় ফের বসার জন্য ১২ হাজারের কিছু বেশি প্রার্থীকে সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু শনিবার শেষ পর্যন্ত ৫ হাজার ৯৪৩ জন পরীক্ষা দিয়েছেন।
বেলা ১২টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত হয়েছে পরীক্ষা। প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ঘিরে গত কয়েকদিন বিহার সরগরম। আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের লাঠিপেটা করেছে পুলিশ। বিরোধীদের তীব্র সমালোচনার মুখে বিজেপি-নীতীশ কুমার জোট সরকার। কংগ্রেসের পাশাপাশি সিপিআই(এম), সিপিআই(এম-এল) এবং সিপিআই আন্দোলনরত পরীক্ষার্থীদের সমর্থন জানিয়েছে।
গত ১৩ ডিসেম্বর পিএসসি পরীক্ষা নেয়। এই ‘কম্বাইন্ড কমপিটিটিভ এক্সাম’ ঘিরে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। এই পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে সরব পরীক্ষার্থীদের বড় অংশ। কিন্তু পরীক্ষা বাতিল করা হয়নি। এদিনও দেখা গিয়েছে ১২ হাজার ১২ জন প্রার্থী ফের পরীক্ষায় বসতে পারতেন। কিন্তু তার ফর্ম ডাউনলোড করেন মাত্র ৮ হাজার পরীক্ষার্থী। শেষ পর্যন্ত পাটনার বাপু পরীক্ষা পরিসরে এসেছেন ৬ হাজারের কম পরীক্ষার্থী।
এদিন পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভের আশঙ্কায় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল পুলিশ। পরীক্ষার্থীদের বাধা দিতে যদিও কেউ আসেননি। তবে পুরো পরীক্ষা বাতিল করে একেবারে নতুন পরীক্ষার দাবিতে আন্দোলনের তেজ আরও বাড়বে বলে মনে করছে বিভিন্ন অংশই।
৩০ লক্ষ থেকে দেড় কোটি টাকার বিনিময়ে সরকারি চাকরি বিক্রির অভিযোগ রয়েছে বিহারের বিভিন্ন স্তরে।
Bihar Exam Scam
গরহাজির অর্ধেকই, প্রশ্ন ফাঁসে বিহারে নতুন পরীক্ষার দাবি জোরালো
×
Comments :0