Panchami Protest

খনি চাই না, প্রশাসনের হুমকির মুখেও বলছে পাঁচামী

রাজ্য জেলা

খনি নির্মাণ কাজের ভরকেন্দ্র চাঁন্দা মৌজার জঙ্গলে বৃহস্পতিবার আদিবাসী মহিলা-পুরুষের সোচ্চার প্রতিবাদ।

সরকারের মরিয়াপনা বনাম খনি বিরোধিতার তেজ– এই সংঘাতে উত্তাপ আরও বেড়েছে পাঁচামীতে। খনন কাজ বন্ধ রয়েছে তিন দিন। সকাল থেকে সন্ধ্যা ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রয়েছে দু’দিন ধরে। আর খনি নির্মাণ কাজের ভরকেন্দ্র চাঁন্দা মৌজার জঙ্গল বৃহস্পতিবার গমগম করেছে আদিবাসী মহিলা-পুরুষের একযোগে সোচ্চার প্রতিবাদে। 
এদিন সকাল থেকেই জঙ্গলে ভিড় জমতে থাকে বাসিন্দাদের। খননের এলাকা থেকে জায়গাটি মাত্র কিলোমিটার খানেক দূরে। সেই খনির গর্ত থেকে ওঠা মোরামের স্তূপেই, গত মঙ্গলবার, প্রতিবাদের প্রতীক চড়কা পুঁতে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন এলাকার মানুষ। বড় সংখ্যায় শামিল থাকছেন মহিলারা। 
তারপর থেকে প্রশাসনের নানা বাধা, প্রচেষ্টা, শাসানি, হুমকি বেড়েছে। 
চান্দার জঙ্গলেই বৃহস্পতিবার বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন বিভিন্ন গ্রামের মোড়লরা। সকাল থেকেই সেখানেই জড়ো হতে থাকেন বাসিন্দারা। দিনভর চলে মত বিনিময়। সোচ্চারে সকলেই উগড়ে দেন খনি নিয়ে তাঁদের ক্ষোভ। ক্ষোভ আরও বেশি হয় প্রশাসনিক বাধায়। 
সাগরবান্দির এক মহিলা জানান, ‘‘আরও মানুষ আসত। কিন্তু পুলিশ নানা জায়গায় বাধা দিয়েছে। হুমকি দিচ্ছে।’’ সারাদিন সেই জঙ্গলেই কাটিয়েছেন জড়ো হওয়া মানুষ। দিনের শেষে নির্যাস থেকে গিয়েছে একই, ‘খনি চাই না।’ 
পাঁচামীর অভ্যন্তরের আন্দোলন, প্রতিবাদের ভাষা, ক্ষোভের ছবি যাতে না ছড়ায় তার জন্য বুধবারের মত বৃহস্পতিবারও সকাল থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ইন্টারনেট পরিষেবা। কিন্তু আন্দোলনের ছবি, বার্তা ছড়িয়ে পড়া আটকাতে পারেনি প্রশাসন। এখনও মোরামের স্তূপ থেকে চড়কা তোলা সম্ভব হয়নি। 
বুধবারের মত বৃহস্পতিবারও সমাজকর্মীদের পড়তে হয় পুলিশি বাধার মুখে। এদিন বোলপুর থেকে সমাজকর্মীদের অপর এক প্রতিনিধিদল পাঁচামীর উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার প্রস্তুতি নিতেই ফের পুলিশ রাস্তা আটকায়। পুলিশ প্রতিনিধিদলের অন্যতম সদস্য শিবু সরেনকে থানায় ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে রাখে বলে অভিযোগ। প্রতিনিধি দলে থাকা  বিশ্বনাথ কিস্কু, রাম সরেনরা জানিয়েছেন, ‘‘পাঁচামীতে আদিবাসী ভাইবোনের সঙ্গে অন্যায় হচ্ছে। তাদের পাশে দাঁড়াতেই আমরা পাঁচামী যেতে কিন্তু পুলিস অন্যায়ভাবে আটকে দিয়েছে।’’ এদিনও প্রশাসনের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি। 

Comments :0

Login to leave a comment