সুস্বাদু ও মুখরোচক খাবার পছন্দ অনেকেরই। কিন্তু সেই খাবার যে স্বাস্থ্যহানি ঘটাচ্ছে তারই প্রমাণ মিলছে। এই খবর চাউর হতেই উদ্বেগ ছড়িয়েছে খনি শিল্পাঞ্চলে।
পশ্চিম বর্ধমান জেলায় কয়েকটি সংস্থার বিস্কুট, নুডুলস ও দুধের প্যাকেটে ভেজালের প্রমাণ মিলেছে। সূত্রের খবর, গত এক বছরে ৩৬০ টি খাদ্য বস্তুর নমুনা সংগ্রহ করে পশ্চিম বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। এরমধ্যে ১২ টি নমুনায় ভেজাল মিলেছে। ৩ টি ক্ষেত্রে জরিমানা করা হয়েছে এবং বাকি ৯ টি নমুনার যাবতীয় তথ্য জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট আধিকারিক এর কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মহম্মদ ইউনুস খান।
জানা গেছে, বিভিন্ন সময়ে জেলা খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের কাছে ভেজাল খাদ্য দ্রব্যের অভিযোগ আসে। তা খতিয়ে দেখতে কয়েকটি নমুনা পরীক্ষা করেই এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বড় নামি ব্র্যান্ডের দোকান থেকেই নমুনা সংগ্রহ হয়েছিল। বিরিয়ানি সহ কিছু খাবার ও মিষ্টির ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক রং ব্যবহার করা হয় যা আদৌ স্বাস্থ্যসম্মত নয়। অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য গুলোতে যে গুণমান থাকা উচিত তা নেই। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানা সহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে নথি পাঠানো হয়েছে। ভেজাল খাবার সংক্রান্ত কোথাও অভিযোগ জমা পড়লেই তার নমুনা সংগ্রহ সংগ্রহের জন্য ফুড ইন্সপেক্টরদের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
রানিগঞ্জ কয়লাঞ্চলের এক চিকিৎসক জানান, ভেজাল ও নিম্নমানের খাবার খেয়েই শিল্পাঞ্চলের মানুষেরা ক্যান্সার, লিভার সহ পেটের নানান সমস্যায় ভুগছেন। পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক কল্লোল ঘোষ বলেন, খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল ভীষণ উদ্বেগজনক ঘটনা। ভেজাল খাবার বিক্রি রুখতে প্রশাসনকে আরও উদ্যোগী হতে হবে। রঙিন খাবার ও প্যাকেটজাত খাবারের ক্ষতিকর দিকগুলি নিয়ে মানুষকে সচেতন করার কাজ করছে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ।
Ranigunj
খাবারে ভেজাল, আতঙ্ক রানিগঞ্জে

×
Comments :0