Jharkhand election

জাতিগত জনগণনা নিয়ে ঝড়খন্ডের জনসভা থেকে মোদীকে নিশানা রাহুলের

জাতীয়

লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং প্রবীণ কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী শুক্রবার ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা জেলার মেহরমায় একটি জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় ঘোষণা করেছিলেন যে যেদিন জাতিগত জনগণনা পরিচালিত হবে, সেদিন এটি দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপট পরিবর্তন করবে এবং এসটি, এসসি এবং ওবিসিদের জন্য সংরক্ষণ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, জাতিগণনার পর দলিত, আদিবাসী, পিছিয়ে পড়া শ্রেণি এবং গরিব মানুষেরা তাঁদের আসল শক্তিকে চিনতে পারবেন, যা ভারতীয় রাজনীতিতে নতুন যুগের সূচনা করবে। রাহুল গান্ধী জোর দিয়ে বলেন, বিজেপি জাতিগত জনগণনার দাবি প্রত্যাখ্যান করলেও কংগ্রেস তার জন্য চাপ অব্যাহত রাখবে।
দলিত, আদিবাসী ও অনগ্রসর শ্রেণির প্রকৃত সংখ্যা হাতে পেলেই আমরা ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দেব।
রাহুল গান্ধী বিজেপির বিরুদ্ধে ঝাড়খণ্ডে অনগ্রসর শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ ২৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৪ শতাংশ করার অভিযোগ করেছেন এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে এসটিদের জন্য সংরক্ষণ ২৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৮ শতাংশ, তফসিলি জাতিদের জন্য ১০ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশ এবং ওবিসিদের জন্য সংরক্ষণ ১৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৭ শতাংশ করা হবে।
ঝাড়খণ্ড ও মহারাষ্ট্রের নির্বাচনকে শুধু রাজনৈতিক ক্ষমতার জন্য নয়, আদর্শের লড়াই বলে বর্ণনা করে রাহুল গান্ধী বলেন, বিজেপি ও আরএসএস সংবিধানকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে, অন্যদিকে কংগ্রেস ও ইন্ডিয়া জোট সংবিধানকে সুরক্ষিত রাখার জন্য লড়াই করছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিকে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘‘মোদীজি বলছেন যে রাহুল গান্ধী লাল বই দেখাচ্ছেন এবং তার পাতাগুলি ফাঁকা রয়েছে। তিনি এটা বলেছেন কারণ তিনি এটি পড়েননি। যদি তিনি তা করতেন তাহলে তিনি দেশে ঘৃণা ও সহিংসতা ছড়াতেন না’’।
রাহুল গান্ধী আমলাতন্ত্রের শীর্ষ স্তরে প্রান্তিক সম্প্রদায়ের কঠোর প্রতিনিধিত্বের বিষয়টিও তুলে ধরেছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘৯০ জন আধিকারিক রয়েছেন, যাঁরা সমস্ত জিএসটি নিয়ন্ত্রণ করেন এবং কীভাবে তহবিল বিতরণ করা হবে তা স্থির করেন। এই ৯০ জনের মধ্যে মাত্র একজন আদিবাসী, যদিও তাদের জনসংখ্যা ৮ শতাংশ। অনগ্রসর শ্রেণি, যারা জনসংখ্যার অন্তত ৫০ শতাংশ, তাদের মধ্যে মাত্র তিনজন অফিসার রয়েছেন, যারা প্রতি ১০০ টাকার মধ্যে মাত্র ৫ টাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ন্ত্রণ করেন’’।
তিনি দেশবাসীকে মনে করিয়ে দেন, ঝাড়খণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, যিনি আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত, তাঁকে বিজেপি এবং আরএসএস নিশানা করেছে, এমনকি জেলেও পাঠিয়েছে।

Comments :0

Login to leave a comment