ইতিমধ্যেই তার জয়েনিং লেটার ফেরত পাঠিয়েছে রাজভবন। তলব করা হলেও, নির্বাচনী ব্যস্ততা দেখিয়ে এড়িয়ে ছিলেন সেই তলব। কিন্তু রবিবার বিনা তলবেই রাজভবন ছুটলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা।
রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ রাজভবন পৌঁছন রাজীব। এর আগেই রাজভবন তরফে জানানো হয়, রবিবার রাজিবকে ডাকা হয়নি। তিনি নিজেই সময় এসেছেন। স্বাভাবিকভাবেই এই ঝটিকা সফর ঘিরে তৈরি হয়েছে একগুচ্ছ প্রশ্ন।
সঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশের প্রায় সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যজুড়ে শুরু হয় তৃণমূলের তাণ্ডব। বামফ্রন্ট, কংগ্রেস, আইএসএফ সহ বিরোধীদের অভিযোগ, দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ রাজিব সিনহা। বিরোধীদের রসের মুখে পড়েন রাজ্যপাল।
রাজ্যের বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, কোন সাংবিধানিক পদে কোন ব্যক্তিকে নিয়োগ করতে হলে নামের একটি তালিকা রাজভবনে পাঠাতে হয় সরকারকে । রাজ্যপাল সেই তালিকা থেকে একজনকে বেছে নেন। কিন্তু রাজীব সিনার ক্ষেত্রে সেটা হয়নি। তৃণমূল সরকার প্রথমে একমাত্র রাজিব সেনার নামই রাজভবনে পাঠায়। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তাতে আপত্তি জানালে আরো দুটি নাম পরবর্তীকালে রাজভবনে পাঠানো হয়। কিন্তু রাজিব সিনহা কি বেছে নান রাজ্যপাল।
প্রশাসনিক মহলের একটি অংশের বক্তব্য, রাজীব সিনহার নিয়োগের বিষয়ে বোঝাপড়ায় আসতে সক্ষম হয়েছিল রাজ্য এবং রাজভবন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদ ফাঁকা থাকলেও রাজ্য সরকারের তরফে পঞ্চায়েতের যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। এবং বোঝাপড়ার ভিত্তিতেই রাজিব সিনহার নাম ঘোষণা করেন রাজ্যপাল। এবং নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা করে দেন রাজীব সিনহা।
নির্বাচন প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই একের পর এক অভিযোগে বৃদ্ধ হচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বিরোধীদের, বিশেষত সিপিআই(এম)'র অভিযোগ, প্রার্থীদের মনোনয়ন তোলানো, এবং তাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে এলাকাছাড়া করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা নিচ্ছে পুলিশ। বারংবার অভিযোগ জানানো হলেও, কমিশন কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। পরিস্থিতির চাপে, বিজেপিও বাধ্য হয় রাজ্যপালকে আক্রমণ করতে।
এই অবস্থায় নিজেদের পিঠ বাঁচাতে, রাজভবনের তরফে একটি হেল্প লাইন চালু করা হয়। গত বুধবার রাজীব সিনহার জয়নিং লেটার ও ফেরত পাঠায় রাজভবন।
ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন, বোঝাপড়া নতুন করে মসৃণ করতেই কি ফের রাজভবনে গিয়েছেন রাজিব সিনহা ?
Comments :0