সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে স্বস্তি পেলেন বেঙ্গালুরুর পুলিশ আধিকারিক বিকাশ কুমার। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় এই আধিকারিককে সাসপেন্ড করেছিল প্রশাসন। ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে যেই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে তাতে সেদিনের ঘটনার জন্য আইপিএল জয়ী টিমকেই দায়ী করা হয়েছে। বলা হয়েছে রয়াল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু এই অনুষ্ঠান আয়োজন করার আগে পুলিশের কাছ থেকে কোন অনুমতি নেয়নি। হঠাৎ করেই তারা সামাজিকমাধ্যমে বিষয়টি ঘোষণা করেন। এই জিনিসটা মনে করা উচিত নয় যে মাত্র ১২ ঘন্টা সময়ের মধ্যে পুলিশ গোটা বিষয়টির আয়োজন করে নিতে পারবে। পর্যাপ্ত সময় না পাওয়ার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সব দিক আয়োজন করে ওঠা সম্ভব হয়নি।
এর পাশাপাশি পুলিশ আধিকারিক বিকঅস কুমারের সাসপেনশন তুলে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে তার চাকরির মেয়াদ কালে এই সাসপেনশনটিকে মান্যতা দেওয়া হবে না। পশ্চিম বেঙ্গালুরুর অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বিকাশ কুমার ওই দিন চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। ট্রাইব্যুনাল বলেছে বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার বি দয়ানন্দ এবং ডেপুটি কমিশনার শেখর এইচ টেক্কানাভারের সাসপেনশনও প্রত্যাহারও করতে হবে সরকারকে। রিপোর্টে বলা হয়েছে তৎকালিন পরিস্থিতিতে এই পুলিশ আধিকারিকদের সাসপেনশন করা হয়েছিল কিন্তু তদন্তে তাদের কোন খামতি চোখে পড়েনি।
আইপিএল বিজয়ী বেঙ্গালুরু রয়াল চ্যালেঞ্জার্সকে সংবর্ধনা দেওবার অনুষ্ঠান ঘিরে প্রবল বিশৃঙ্খলার জেরে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে মৃত্যু হয় ১১ জনের। বেশিরভাগেরই বয়স কুড়ি থেকে ত্রিশের মধ্যে। অন্তত ৩৩ জন আহত হয়ে চিকিৎসাধীন। দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় মর্মান্তিক এই ঘটনায়।
স্টেডিয়ামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল কর্ণাটক রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। সরকার জানায় যে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ৩৫ হাজারের জায়গা থাকলেও প্রায় ৮ লক্ষ মানুষ এসেছিলেন। তার ওপর এমন খবর ছড়িয়ে দেওয়া হয় যে বিনা টিকিটেও দেখা যাবে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। এরপরই বাঁধ ভেঙে বাড়তে তাকে ভিড়। স্টেডিয়ামে ঢোকার জন্য চলতে থাকে তুমুল হুড়োহুড়ি। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ১১ জনের।
Bengaluru Stampede
চিন্নাস্বামী ঘটনার দায় আরসিবি’র বলছে ট্রাইব্যুনালের রিপোর্ট

×
Comments :0