আরজি করের ধর্ষণ ও খুনের মামলায় এবার ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট সুশান্ত রায়কে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়। বুধবার তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয়। সিবিআই সূত্রে খবর, তাঁর বিরুদ্ধে থ্রেট কালচার সহ চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের মামলায় প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে জারির হন তিনি। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সিজিও কমপ্লেক্সের পিছনের গেট দিয়ে সুশান্ত রায় ভিতরে প্রবেশ করেন এবং সেখান দিয়েই বেরিয়ে যান।
গত ৯ আগস্ট উত্তরবঙ্গ লবির অন্যতম মাথা এই সুশান্ত রায় সকালেই আর জি কর হাসপাতালে চলে আসেন তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষর কথায়। চার তলার সেমিনার রমেও সুশান্ত রায়কে দেখা যায়। উত্তরবঙ্গ থেকে কেন ছুটে আসতে হয়েছিল তাঁকে আর জি করের চেস্ট মেডিসিনের সেমিনার রুমে? সেদিন রাত পর্যন্ত কেন তাঁকে থাকতে হয়েছিল আর জি করে? সেদিন কেন দফায় দফায় সন্দীপ ঘোষের ঘরে বসে তাঁকে বৈঠক করতে হয়েছিল? তাঁর কী উদ্দেশ্য ছিল? এদিন সকাল থেকে দফায় দফায় জেরা পর্ব চলে। একই সঙ্গে এদিন ফের ময়নাতদন্তকারী দলের অন্যতম চিকিৎসক ডাঃ অপূর্ব বিশ্বাস ও আর জি করের দুই ডোমকেও তলব করা হয়। বেশ কিছুক্ষন ধরে চলে জেরা। তরুণী চিকিৎসকের ময়নাতদন্তকারী দলের সদস্য চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস এবং মর্গের এক কর্মীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে। এর আগেও দু’বার চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাসকে তলব করা হয়েছিল। গত রবিবার সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই জেরা শেষে বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের কাছে তিনি তিনি দাবি করেছিলেন, মৃতার দেহের দ্রুত ময়নাতদন্ত করার জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ দেওয়া হয়েছিল। সিবিআই সূত্রের ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়ায় একাধিক অসঙ্গতি দেখা গেছে এমনকি ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকদের ওপর বিভিন্নভাবে চাপ তৈরি করার অভিযোগও সামনে আসে। তার ভিত্তিতেই জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। কারা চাপ দিয়েছিলেন, কোন প্রভাব খাটানো হয়েছিল কিনা, কেন সূর্যাস্তের পরে ময়নাতদন্ত করতে হলো তড়িঘড়ি তা নিয়েও চলে জেরা।
RG Kar Case
সিজিও কমপ্লেক্সে সুশান্ত রায়
×
Comments :0