ফের সংকোশ ও রায়ডাক নদীর ভাঙ্গনে দিশেহারা কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ ২নং ব্লকের ভানুকুমারি ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ছিট বড় লাউকুঠি গ্রামের বাসিন্দারা। বর্ষা শুরুর আগে ফের ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে এই দুই নদীর। আর এতেই চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন ছিট বড় লাউকুঠি এলাকার বাসিন্দারা। নতুন করে প্রায় ১ হাজার ২০০ মিটার ভাঙন দেখা দেওয়ায় ঘুম উড়েছে এলাকার এই ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষদের। ভাঙ্গন প্রতিরোধে কার্যত ব্যর্থ প্রশাসন।
এর আগেও এই নদী ভাঙ্গন নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে বিঘার পর বিঘা কৃষি জমি সহ বসত ভিটে। অস্তিত্বের সংকটে অসংখ্য কৃষিজীবী পরিবার। ছিট বড়লাউকুঠি গ্রামের প্রচুর অংশের আবাদি জমি ও ঘরবাড়ি ইতিমধ্যেই চলে গিয়েছেন নদী গর্ভে। এই মুহুর্তে নদী যেভাবে বসতির দিকে এগিয়ে আসছে, তাতে গ্রামের বাকি বসত ভিটেটুকু নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে।
তুফানগঞ্জ ২নং ব্লকের ভানুকুমারি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অসম সংলগ্ন এই ছিট বড়লাউকুঠি গ্রামটি সংকোশ ও রায়ডাক নদী গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে গোটা গ্রামকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে সেচ দপ্তরের উদ্যোগে এলাকায় ৮০০ মিটার বোল্ডারের বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হলেও ফের নতুন করে ১হাজার ২০০ মিটার ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে এলাকায়। ভাঙনে ফলে এক-তৃতীয়াংশ এলাকাই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ গ্রাম পঞ্চায়েত দপ্তর থেকে শুরু করে বিডিও অফিস এমন কি সেচ-দপ্তরে বারংবার অভিযোগ জানানোর পরেও কোন ঘুম ভাঙেনি প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের।
তুফানগঞ্জ মহকুমা সেচ দপ্তরের আধিকারিক সৌরভ সেন বলেন, স্থায়ী বাঁধের জন্য এস্টিমেট তৈরি করে ওপরমহলে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে কাজ শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। তবে ভাঙ্গন প্রতিরোধে আদৌ স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ হবে কিনা এই ভাঙ্গন কবলিত এলাকায়? এই প্রশ্নটিই উত্তর খুঁজছেন এই ভাঙ্গন কবলিত এলাকার বাসিন্দারা।
River Erosion
সংকোশ- রায়ডাক নদীতে ভাঙন আতঙ্কে গ্রামবাসীরা

×
Comments :0