SFI

ব্যবস্থা নিতে হবে কুৎসা করা তৃণমূল, বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে বললো এসএফআই

রাজ্য

সাংবাদিক সম্মেলনে এসএফআই নেতৃত্ব।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির যেই যেই নেতারা লাগাতার হুমকি এবং কুৎসা করে যাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিতে হবে। এই মর্মে বুধবার কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে অনলাইনে ডেপুটেশন পাঠালো এসএফআই রাজ্য নেতৃত্ব। 
এদিন এসএফআইয়ের রাজ্য দপ্তর দীনেশ মজুমদার ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসএফআই রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে বলেন, ‘‘অরূপ বিশ্বাস, মদন মিত্র, সায়নী ঘোষ, রাজ চক্রবর্তী, সৌগত রায়, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারিরা লাগাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে আক্রমণ করে যাচ্ছে। কুৎসা করছে, বলছে এতো সময়ের মধ্যে দখল করবো। এই সব তৃণমূল এবং বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে পুলিশকে। উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে বলে অনলাইনে ডেপুটেশন পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষা না থাকলে এসএফআই যেই ভাবে লালবাজারে যায় সেই ভাবে যেতো মিছিল করে।’’
এসএফআই রাজ্য নেতৃত্বের কথায় তৃণমূল শাসনে রাজ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে যখন লাগাতার ড্রপ আউট বাড়ছে, ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে তোলাবাজি বাড়ছে তখন যাদবপুর এই সবের বিরুদ্ধে লড়াই করে নিজেদের মান বজায় রেখেছে তাই তার আজ এই দুই দলের আক্রমণের শিকার। 
বুধবার কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে আউট পোস্ট তৈরি করতে চায়। সেই বিষয় কর্তৃপক্ষের মতামত তারা চেয়েছে। এসএফআই রাজ্য সম্পাদকের কথায়, ‘‘রাজ্যে এতো গুলো বিশ্ববিদ্যালয় আছে সেই গুলোয় কেন পুলিশ কোন আউট পোস্ট তৈরি করছে না। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের গুন্ডাদের আস্তানা দেওয়ার জন্য কি তারা ওই আউট পোস্ট বানাতে চাইছে।’’ তাদের কথায় গত দুবছর বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি লিজ শেষ হয়ে গেলেও তার কোন রিনুয়াল হয়নি। কেন তা হয়নি তা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তুলেছে এসএফআই।
যাদবপুর কাণ্ডে গোটা রাজ্যে জুড়ে প্রতিবাদে নেমেছেন বামপন্থীরা। জায়গায় জায়গায় হচ্ছে বিক্ষোভ। আবার অনেক জায়গায় এই প্রতিবাদের ওপর নেমে এসেছে পুলিশি আক্রমণ। ব্রাত্য বসুর বিধানসভা এলাকা দমদমে মিছিল করতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয়েছে সিপিআই(এম) কর্মী সমর্থকদের। 
দেবাঞ্জন বলেন, ‘‘সাংবিধানিক প্রতিবাদের ওপর বার বার পুলিশ আক্রমণ নামিয়ে আনছে। বিধাননগর কমিশনারেট অন্যতম যারা এই কাজ বার বার করে। বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যা মামলা দিয়ে আন্দোলন দমিয়ে দিতে চাইছে পুলিশ। কিন্তু আমরা বলছি এখন পরীক্ষা চলছে বলে এসএফআই পথে নামছে না। ১৮ মার্চের পর আন্দোলন তীব্র হবে।’’
ব্রাত্য বসুর গ্রেপ্তারির দাবি কালিন্দি এলাকায় পোস্টার লাগায় এসএফআই। সেই পোস্টার লাগানো নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন তর্জা। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ভিডিও দেখানো হচ্ছে যে এসএফআই শিক্ষামন্ত্রী বাড়ির দেওয়ালে ওই পোস্টার লাগিয়েছে। কিন্তু তা পুরোপুরি মিথ্যা।
এসএফআই উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক আকাশ কর বলেন, ‘‘গতকাল রাত থেকে বিভিন্ন জায়গায় এসএফআই ব্রাত্য বসুর বাড়ির দেওয়ালে তার গ্রেপ্তারির দাবিতে পোস্টার লাগিয়েছে। না, এসএফআই চাইলে তা করতে পারতো। কিন্তু তা করেনি। তার বাড়ি থেকে ৩০০ মিটার দুরের একটি বাড়িতে লাগানো হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে যা মন্ত্রীর বাড়ি বলে দেখানো হচ্ছে।’’ তিনি আরও বলেন, দমদম এলাকায় পুলিশের পক্ষ থেকে ফতোয়া জারি করা হয়েছে যে ব্রাত্য বসুর কোন কুশপুতল পোড়ানো যাবে না। বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় এসএফআই কর্মীদের থানায় ডেকে হেনস্থা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে এসএফআই নেতৃত্ব। সংবাদমাধ্যমের ভিডিও যে মিথ্যা তার সপক্ষে প্রমানও দিয়েছে এসএফআই।
দমদমে ব্রাত্য বসুর গ্রেপ্তারির দাবিতে মিছিল করে এসএফআই সেই মিছিল করার জন্যও মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য নেতৃত্ব।

Comments :0

Login to leave a comment