আন্দোলনকারিদের পক্ষ থেকে বৃন্দাবন ঘোষ বলেন, ‘‘শিক্ষা দপ্তরের প্রিন্সিপাল সচিব বিনোদ কুমার এবং সচিব শুভ্র চক্রবর্তীর সাথে আমাদের কথা হয়েছে। রিভিউ করার বিষয় সরকার এবং এসসিসি যেই ড্রাফ্ট করেছে তাতে যোগ্যদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।’’ তিনি বলেন, বিকাশ ভবনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে রিভিউ গ্রহন করার বিষয় রাজ্য সরকারের হাতে নয়, আদালতের হাতে।
উল্লেখ্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের বাতিল হয়েছে ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেল। চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীরা। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে শীর্ষ আদালতের এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে রিভিউ পিটিশন দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। শুধু রাজ্য সরকার নয় এসএসসির পক্ষ থেকেও পিটিশন দেওয়া হবে বলে খবর। আন্দোলনকারিদের দাবি এদিন তাদের সেই পিটিশন দেখানো হয়েছে বিকাশ ভবনের পক্ষ থেকে।
আন্দোলনকারিরা জানান, রাজ্য সরকার, মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন যে যোগ্যদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হবে সেই দাবি ফের একবার তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী ৩১ মে’র মধ্যে নতুন করে পরীক্ষার বিঞ্জপ্তি দিতে হবে। আান্দোলনকারিরা জানিয়েছেন তারা যোগ্য ফের তারা নতুন করে তাদের যোগ্যতার প্রমান দিতে তৈরি নয়। বিকাশ ভবনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আদালতের ওপর কেউ যেতে পারে না।
চাকরিহারাদের দাবি নিযোগের নোটিফিকেশন না দিয়ে চাকরি ফেরানোর ব্যবস্থা করুক সরকার। প্যানেল যাতে বাঁচানো যায় তার চেষ্টা করতে হবে বা রিপ্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগ করতে হবে।
আন্দোলনকারিদের কথায়, ‘শিক্ষামন্ত্রীর সাথে দেখা করতে চেয়ে ছিলাম। কিন্তু দেখা হয়নি। তিনি ছিলেন না। সব প্রশ্নের উত্তর সরকার দিতে পারেনি। শিক্ষামন্ত্রী থাকলে হয়তো উত্তর পাওয়া যেত। অসুস্থদের কি হবে তা কোন উত্তর নেই। এমন কিছু প্রশ্ন আছে তার উত্তর একমাত্র শিক্ষামন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী দিতে পারবে।’
তারা স্পষ্ট জানিয়েছেন, আন্দোলনের অভিমুখ দিল্লিমুখী হবে। আধিকারিদের দুর্নীতি যেমন দায়ি তেমন ভাবে আদালতও মানবিক দিক থেকে সব কিছু বিচার করেনি। যা হয়েছে তা দেশের জন্য কলঙ্কজনক বিষয়।
Comments :0