Post editorial

দুই শাসকের একই স্বর

উত্তর সম্পাদকীয়​

শান্তনু চক্রবর্তী

 

গভীর রাতে শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে দাঁড়িয়ে আর জি করের নিহত নির্যাতিতার বাবা-মা যখন বলছেন, ‘‘আমরা বিচার চাইছি না, ন্যায়বিচার দাবি করছি’’, তখন হাতে হাতে জ্বলা মশালের আগুনের আলোয় উদ্ভাসিত সেই বিশাল জমায়েতের পটভূমিতে নেতাজীর অশ্বারোহী মূর্তিটাকেও কেমন যেন অলৌকিক মনে হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, শহর ‍‌ও শহরতলীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন মিছিলের মানুষগুলোর ভিড়ে তিনিও শামিল— তাঁর সাহস, বীরত্ব, লড়াইয়ের স্পর্ধা নিয়ে। যে মহামিছিল সেদিন হাইল্যান্ড পার্ক থেকে রিলে প্রথায় প্রতিবাদের মশাল নিয়ে এসেছিল শ্যামবাজার অবধি, সেই মিছিলের শুরুতেই একটা ব্যানারের দু’পাশে কলতান দাশগুপ্ত আর রূপসা মণ্ডলের দু’টো ছবি ছিল। একজন পরিচিত বামপন্থী যুব নেতা, আরেকজন সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক এক প্রতিবাদী তরুণী। শাসকের অন্ধ আক্রোশ আর ষড়যন্ত্রের রাজনীতি প্রশাসনের প্রতিশোধ আর কণ্ঠরোধের অতি তৎপরতা তাঁদের একই ব্যানারে পাশাপাশি নিয়ে এসেছে। কোনও স্লোগান, তথাকথিত কোনও রাজনীতির উচ্চারণ ছাড়াই নিয়ে এসেছে।
গত ৯ আগস্ট থেকে এটাই ঘটে আসছে এই মহানগরীতে, এই বাংলার সদর-মফস্বলে। যে আন্দোলন কোনও দলীয় পতাকার নয়, কোনও নেতার নয়, কোনও বিশেষ রাজনীতিকে জিতিয়ে দেওয়ার নয়— পথ হাঁটতে হাঁটতেই সে ঠিক বুঝে নেয়। কে দোস্ত, কে দুশমন। তাই কলতান আর রূপসারা কোনও রাজনৈতিক পরিচয় ছাড়াই সেই মি‍ছিলের মুখ হতে পারেন, যে মিছিলের শেষপর্বে স্বাস্থ্যভবন থেকে সেদিনই ধরনা তুলে নেওয়া জুনিয়র ডাক্তার আন্দোলনের প্রতিনিধিরা মশাল হাতে দাঁড়াবেন। এ‍‌ই ডাক্তারবাবুদের ধরনামঞ্চে হামলা চালানোর ষড়যন্ত্রের মিথ্যে অভি‍‌যোগেই না গ্রেপ্তার করা হয়েছিল কলতানকে? কখন, কিভাবে গ্রেপ্তার? বামেদের লালবাজার অভিযান ও সারা রাতের ধরনার পরে ভোরবেলায় বাড়ি ফেরার পথে। মানে আন্দোলন প্রতিবাদের অভিমুখকে লড়াইয়ের ময়দান থেকে তুলে এনে হাজতে পোরার চেষ্টা। তার নিট ফল এটাই দাঁড়ালো, বামপন্থী ছাত্র, যুব ও গণতান্ত্রিক মহিলা আন্দোলনের কর্মীরা সেদিন থেকেই তিলোত্তমার ধর্ষক-খুনিদের শাস্তির দাবির পাশাপাশি কলতানের মুক্তির দাবিকেও তাঁদের স্লোগান করে নেন। একই সঙ্গে সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক নাগরিক মিছিল সমাবেশ ধরনা থেকেও যুব নেতার মুক্তির দাবি ওঠে। বলাই বাহুল্য, কোনও রাজনৈতিক নেতার জন্য নয়। ন্যায়বিচারের দাবিতে গণতান্ত্রিক নাগরিক আন্দোলনে শামিল হওয়া এক সক্রিয় কর্মীর জন্য। যেমন উঠেছিল রূপসার জন্যেও।
হালতুর বাসিন্দা, কলেজ ছাত্রী রূপসা মণ্ডলকে পুলিশ মাঝরাত্তিতে, ঘরের দরজা ভেঙে টেনে হিঁচড়ে তুলে নিয়ে যায়। তাঁর অপরাধ সাংঘাতিক! হোয়াটস অ্যাপে আপত্তিকর প্রতিবাদী বার্তা শেয়ার ফরোয়ার্ড ইত্যাদি করেছেন! এই ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য তাঁকে প্রথমে থানায়, তারপর লালবাজারে, ‘ভারতের স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড’ কলকাতা পুলিশের সদর দপ্তরে চালান করা হয়। সেখানে রূপসার এই মুখ্যমন্ত্রী তথা শাসক দলবিরোধী ভাবনা চিন্তার পেছনে ‘বড় মাথা’ কারা আছে, কারা তার মগজধোলাই করল, সেসব জানতে তাকে মারধর করা হয়— সেন্ট্রাল লকআপের নানান ধরনের কয়েদিদের সঙ্গে রাত কাটাতে বাধ্য করা হয়। তারপর উচ্চ আদালতে মুখ পুড়িয়ে জামিন দিতে হয়। এই কদিনের পুলিশি হেনস্তায় অসুস্থ হয়ে পড়া রূপসা সেদিনের মশাল মিছিলে যোগ দিতে পারেননি। কিন্তু রূপসার বাবা দিবাকর মণ্ডল, দোকানে দোকানে প্লাস্টিকের ব্যাগ সরবরাহ করে যাঁর দিন গুজরান হ‌য় জাতীয় পতাকা হাতে মিছিলের সামনের সারিতেই তিনি ছিলেন। কলতান মুক্তির পরে শ্যামবাজারে বাম ছাত্র-যুবদের ধরনা মঞ্চে পৌঁছে গেছেন। তার মানে শাসক যে প্রতিবাদের কণ্ঠগুলোকে রুদ্ধ করে, প্রতিরোধকে হেপাজতে নিতে, ফাটকে পুরতে চেয়েছিল, সেইসব প্রতিবাদ-প্রতিরোধ আবার রাজপথে মিছিল-ধরনা-জমায়েতে ‘জনতার মুখরিত সখ্যে’ ফিরে আসছে। শাসকের রক্তচক্ষু, জুলুমের তোয়াক্কা না করেই আসছে। আর ঢেউয়ের মতোই ছড়িয়েও যাচ্ছে।
রূপসা যেদিন জামিন পেলেন, তার দু’দিন আগেই ইউএপিএ আইনে তিহার-বন্দি ছাত্রনেতা উমর খলিদের জেলজীবনের ৪ বছর পূর্ণ হলো। ৪ বছর মানে ১৪৬০ দিন। হিসেব মতো উমরের জেলবাসের ১৪৬২তম দিনে কলকাতায় দেখানো হলো তাঁকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র ‘কয়েদি নম্বর ৬২৬৭১০’। দক্ষিণ কলকাতার সুজাতা সদনে সেদিনের ওই চলচ্চিত্র প্রদর্শনিতে হাজির উমরের সাথী, বন্ধু, সহযোদ্ধা বনজ্যোৎস্না লাহিড়ি। অনলাইন আলোচনায় তাছাড়াও ছিলেন তাঁদের আরেক বন্ধু, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনের শরিক অনির্বাণ ভট্টাচার্য। আর ঠাসা প্রেক্ষাগৃহে দর্শকদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ ছিলেন যাঁরা এই মুহূর্তে ন্যায়ের দাবিতে আন্দোলনে রাস্তায় আছেন। বনজ্যোৎস্না যখন থানা-পুলিশ-জেল-আদালতে দিনের পর দিন চক্কর কাটার দুঃসহ অভিজ্ঞতার কথা বলছিলেন— রাষ্ট্রের সন্ত্রাস আর আদালতের অসংবেদনশীলতার গল্প শোনাচ্ছিলেন— তখন সেইসব দর্শকদের কেউ কেউ রূপসার কথাও বললেন। বলতেন ক’দিন আগেই বারাস‍‌তে রাত দখলের অভিযাত্রী মেয়েদের ওপর নেমে আসা, রাজ্যের মহিলা মুখ্য তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উর্দিপরা গুন্ডাবাহিনীর তাণ্ডবের কথা। ওভাবেই কোথায় দিল্লি আর পশ্চিমবঙ্গের সরকার, কেন্দ্র আর রাজ্যের শাসক দল, যে কোনও বিরুদ্ধ স্বর, বিরোধিতার যে কোনও প্রাচীর স্তব্ধ করতে, গুঁড়িয়ে দিতে কিভাবে যেন একই জায়গায় এসে দাঁড়িয়ে যায়।
আসলে এটাই শাসকের ইকো-সিস্টেম— বিশেষ করে তাদের যারা গণতন্ত্রের বহুস্বর শুনতে নারাজ, এবং অনভ্যস্ত। উমর খ‍‌লিদের ওপর মোদী-শাহ সরকারের আক্রোশের কারণ ছিল, উমর ২০১৯-২০-তে দিল্লিতে এনআরসি ও সিএএ বিরোধী গণআন্দোলনে সক্রিয় অংশ নিয়েছিলেন। কোনও প্রাতিষ্ঠানিক রাজনৈতিক দল নয়— সাধারণ মানুষের গণপ্রতিরোধের সামনে তখন অমিত-বিক্রম নরেন্দ্র-সরকারকেও তখন দিশেহারা, বিভ্রান্ত দেখাচ্ছিল। যেমন দেখাবে আরও দু’বছর পরে, কৃষক-আন্দোলনের সময়। কারণ দু’টোই তাদের সিলেবাসের বাইরে মানুষের আন্দোলন। অবশ্যই রাজনৈতিক— কিন্তু কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দলের নয়। তবে ২০২০-তে ছাত্র-জনতা শাহিনবাগের মায়েদের ওই আন্দোলনের কাঁটা উপড়োতে বিজেপি তাদের সবচেয়ে পছন্দের ফর্মুলা ব্যবহার করেছিল — সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। স্বয়ং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর স্লোগান দিলেন ‘‘দেশ কে গদ্দারো কো ....’’। সঙ্ঘ পরিবারের মেজ-সেজ-খুচরো নেতারা সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক ভাষণের বন্যা বইয়ে দিলেন। কিন্তু অমিত শাহ’র পুলিশ দাঙ্গার পরিকল্পনাকারী ও উসকানিদাতা হিসেবে গ্রেপ্তার করল জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া ও জেএনইউ’র কিছু ছাত্রছাত্রী-গবেষকদের। সরজিল ইমাম, গুলফিসা ফাতিমা, মিরান হায়দর, খালিদ সইফি, দেবাঙ্গনা, নাফিসা, উমরদের সম্পর্কে বলা হলো, এরা ভয়ানক কোনও দেশবিরোধী, বিচ্ছিন্নতাবাদী ষড়যন্ত্রে জড়িত। দেশের সম্মান নষ্ট করার জন্যই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের সময় তাঁরা অশান্তি বাধানোর চক্রান্ত করেছিলেন। সুতরাং এদেরকে জেলে না ভরলে দেশের সুরক্ষার বড় বিপদ ঘটবে!
আমরা ললিত ভাচানির তথ্যচিত্রে দেখলাম, বনজ্যোৎস্নাও বলছিলেন, উমরের গ্রেপ্তার-রহস্যের গল্প। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযোগ ছিল দিল্লি-দাঙ্গায় প্ররোচনা দেওয়া। এই প্ররোচনাটা তিনি দিলেন কোথায়? দিল্লিতে নয়, মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে এক সভায়। সেখানে এক সভায় তিনি যে বক্তৃতা দিয়েছিলেন, তার সামনের পেছনের অংশ বাদ দিয়ে মাত্র ৪০ সেকেন্ডের একটা ভিডিও-ক্লিপিং দেখিয়ে পুলিশ ‘প্রমাণ’ করে দিল উমর খালিদ একজন মারাত্মক সন্ত্রাসবাদী দাঙ্গাবাজ। আর যেহেতু তাঁর নাম ‘উমর’, কোনও ‘অনির্বাণ ভট্টাচার্য’ নয়—তাই আজকের এই উগ্র সংখ্যা গরিষ্ঠতাবাদী ভারতবর্ষে তাঁকে ‘জইস-এ-মহম্মদ, লস্কর-ই-তৈবা, এমনকি আল কায়েদা’র সদস্য হিসেবে চালিয়ে দেওয়াটাও খুব কঠিন কাজ নয়। তবে উমরের গ্রেপ্তারির ‘গোপন রহস্য’ অন্য জায়গায়। এই ৪০ সেকেন্ডের ভিডিও’টা প্রথমে বিজেপি’র আইটি সেলের ‘ডন’, হোয়াটস অ্যাপ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য শ্রীযুক্ত অমিত মালব্য সামাজিক মাধ্যমে ‘পোস্ট’ করে ছিলেন—যেমনটা তিনি করে থাকেন। সেই ক্লিপিংটাই সঙ্ঘ পারিবারিক বাস্তুতন্ত্রের সর্বোচ্চতম ডেসিবেলের মিডিয়া-মুখ শ্রীযুক্ত অর্ণব গোস্বামীর রিপাবলিক চ্যানেলে প্রচারিত হয়। সেখান থেকেই সেটা অতি-কর্তব্যপরায়ণ দিল্লি পুলিশের হাতে আসে এবং তারা ‘অ্যাকশনে’ নেমে পড়ে। এবার এই ক্রোনোলজিটা খুব চেনা চেনা লাগছে না? তৃণমূল দলের বাচালতম মুখপাত্র সাংবাদিক বৈঠক ডেকে একটা অডিও-ক্লিপ শোনালেন! সেখানে নাকি ‘বাম’ আর ‘অতি-বাম’ জনৈক ‘ক’-বাবু আর ‘স’-বাবু জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনামঞ্চ উড়িয়ে দেওয়ার, কমসেকম হিংস্র হামলা চালানোর মারাত্মক ছক কষছে! বিকেলবেলায় কুণালবাবুর ‘বিস্ফোরক’ অডিও-টেপ সংবাদ-চ্যানেলে ছড়িয়ে পড়তে না পড়তেই সন্ধ্যেবেলায় ‘ব্রেকিং নিউজি’! পুলিশ ওই অডিও-র ভিত্তিতেই ‘স্বতঃপ্রণোদিত’ এফআইআর দায়ের করে, তদন্তের গাছে না উঠতে উঠতেই বিরাট এক কাঁদি ‘সাফল্য’ পেড়ে এনেছে। অন্যতম এক ষড়যন্ত্রীকে পাকড়ে এনেছে। এরপর তার জবানবন্দীর ভিত্তিতেই পুলিশের বিরাট ব্রেক থ্রু। পরেরদিন ভোরেই কলতান গ্রেপ্তার। তৃণমূলী সমাজমাধ্যমে দেবাংশু-প্রমুখদের সহর্ষ পেশি-আস্ফালন। দলেরই বেসরকারি প্রচার-ইকোসিস্টেমের অন্তর্ভুক্ত, তথাকথিত ‘নিরপেক্ষ’ ইউটিউবারদের টাটকা এপিসোডে ‘সিপিএম’র সশস্ত্র বিপ্লব’ গোছের বিজয় গর্বিত টীকা-টিপ্পনি!
ক’দিনের মধ্যেই হাইকোর্টের প্রচণ্ড থাপ্পড়ের পরে শাসকপক্ষের মিডিয়া সেল এখন এই ব্যাপারটায় যে বিশেষ রা কাটছে না সেটা অন্য ব্যাপার। কিন্তু অডিও-টেপের হাতবদলের এই ক্রোনোলজিটা পুলিশ, তৃণমূল, কেউই আমাদের ঠিকঠাক ‘সমঝিয়ে’ দিতে পারল না। তাল দুম জরিয়া পড়িল না পড়িয়া দুম করিল— মানে তৃণমূল মিডিয়ার মাধ্যমে ওটা পুলিশকে পাঠালো না পুলিশ তৃণমূলকে দিয়ে ‘খবরটা’ প্রচার-মাধ্যমে ফাটালো— সেটা এখনও পরিষ্কার হয়নি। তবে একটা ব্যাপার পরিষ্কার, এরাজ্যের শাসকরা বাধ্য-অনুগত ছাত্র-ছাত্রীদের মতোই কেন্দ্রের শাসকদের মোডাস অপারেন্ডিটা রপ্ত করে ফেলেছেন। দিল্লি দাঙ্গায় উমর সরদিলদের কিভাবে ফাঁসানো হয়েছিল। সেটা তো এখন সুস্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। তারও কয়েক বছর আগে ভীমা-কোরেগাঁও মামলায় অভিযুক্তদের কম্পিউটার ম্যাল-ওয়্যার ঢুকিয়ে একের পর এক গায়ক-লেখক-অধ্যাপক-সমাজকর্মী এমনকি অশক্ত-অসুস্থ-বৃদ্ধ মিশনারি স্ট্যান স্বামীদের কিভাবে গারদে ঢোকানো হয়েছিল সেসবও এখন সামনে আসছে। তৃণমূলের আইটি সেল এখনও অত উন্নত প্রযুক্তি হয়তো হাতে পায়নি। তবে মানুষের আন্দোলনে সরাসরি অংশ নেওয়া টালিগঞ্জের বড় ও ছোট পর্দার একাধিক অভিনেত্রী নোংরা-অশ্লিল হুমকির মুখোমুখি হচ্ছেন। কলকাতা পুলিশের সাইবার‍ সেল-এ অভিযোগ দায়ের করেও কোনও লাভ হচ্ছে না। কিন্তু পুলিশের তরফে রাতদখলের কর্মসূচির বিভিন্ন সংগঠকদের ধারাবাহিকভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে। আসলে পাঠক্রমের বাইরের এই আন্দোলনের মোকাবিলায় হুমকি-সংস্কৃতিই আপাতত গণ-কনভেনশনের জন্য হলের বুকিং বাতিল করে দেয়। আর প্রধান বিরোধী দলের নেতা-বিধায়করা তাঁদের স্বার্থপর-বিশ্বাসঘাতক বলে গাল পাড়ছেন। তাই এক্ষুনি কেন্দ্র ও রাজ্যের দুই শাসকের একই স্বর। থ্রেট-কালচারের হাতিয়ার কর!

 

 

Comments :0

Login to leave a comment