World Bank on Heat wave

এয়ার কন্ডিশন, এয়ার কুলারই বাড়াবে তাপ প্রবাহ আশঙ্কা বিশ্ব ব্যঙ্কের

জাতীয়

বাড়ছে বিশ্বের উষ্ণতা। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তাপ প্রবাহ। বিশেষজ্ঞদের মতে পৃথিবীর কোনও দেশই এর প্রভাব এড়াতে পারবে না যেমন সত্যি তেমনি তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে এর প্রভাব পড়বে মারাত্মক। বিশ্ব ব্যঙ্কের সমীক্ষা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় ১৬ কোটি ভারতবাসীর ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে উষ্ণায়নের। প্রায় ৩.৪ কোটি ভারতবাসী কর্মক্ষমতা হারাবে। বিশেষ করে উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা এয়ার কন্ডিশন কিনে নিজেদের ঘর ঠান্ডা রাখতে পারবে। কিন্তু নিম্নবিত্ত, প্রান্তিক ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো গরমে কর্মক্ষমতা হারাবে। কাজ হারাবে। পথে ঘাটে তাদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। 

এয়ার কন্ডিশন, এয়ার কুলারই বাড়াবে তাপ প্রবাহ স্পষ্ট জানাল বিশ্ব ব্যঙ্কের। গরমের হাত থেকে বাচার জন্য এই ধরনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের ব্যবহার ব্যাপক পরিমান বাড়বে। ফলে সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়বে গরম ও তাপ প্রবাহ, বহুল পরিমানে নির্গত হবে গ্রীন হাউস গ্যাস। যা তাপমাত্রা বৃদ্ধির অন্যতম কারন। ফলে এখন থেকেই ভারত সরকারের এই নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা উচিৎ বলে মত বিশ্ব ব্যাঙ্কের। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে বিকল্প কিছুর পথে হাটা উচিৎ বলে মতামত তাদের।

২০১৯ সালে প্রস্তাবিত ইন্ডিয়া কুলিং অ্যাকশন প্ল্যানকে সমর্থন জানিয়ে বিশ্ব ব্যঙ্কের তাতে বিনিয়োগের কথা বলছে। বিকল্প পথে ভারতকে ঠান্ডা রাখা যাতে গ্রীন হাউস গ্যাস নির্গত হবে কম, বিদ্যুৎ খরচ কমবে, সেই সঙ্গে পরিবেশ রক্ষা হবে সেই সঙ্গে কর্ম সংস্থানও বাড়বে বলে জানায় বিশ্ব ব্যাঙ্ক। এক একটি এয়ার কন্ডিশনের পরিবর্তে সেন্ট্রালাইড কুলিং ব্যবস্থা। কেন্দ্রীয় ভাবে ঠান্ডা জল উৎপন্ন করে পাইপের মাধ্যমে সরাবরাহ করা। কুল রুফ বা ঠান্ডা ছাদের ব্যবস্থা করা ইত্যাদি। শহর ও থেকে শহরতলিতে পর্যন্ত নির্দিষ্ট ছকে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনকে এগোনর পরামর্শ। এই সমস্ত ক্ষেত্রে প্রায় ১.৬ ট্রিলিয়ল বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও আরও পরামর্শ দিয়ে বিশ্ব ব্যঙ্কের কর্তারা। তবে বাস্তবে তা কতটা ভারতের মতো দেশ কাজে লাগাতে পারবে তা নিয়ে প্রবল সংশয় রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।   

Comments :0

Login to leave a comment