DACOITY

অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে হয়েছিল ডাকাতি, দোষী সাব্যস্ত ৩

রাজ্য জেলা

crime news chandannagore news dacoity police firing bengali news আদালত থেকে এক দুষ্কৃতিকে নিয়ে যাচ্ছেন পুলিশকর্মীরা।

পোর্টেবেল জ্যামার ও রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন ডিটেক্টর বা আরএফআইডি’র সাহায্যে ২০২১ সালে চন্দননগরে দুঃসাহসিক ডাকাতি হয়েছিল। সেই ঘটনায় বিহারের তিন দুষ্কৃতিকে সোমবার দোষী সাব্যস্ত করল চুঁচুড়া আদালত। মঙ্গলবার সাজা ঘোষণা করা হবে। ২ দোষীর নাম বিট্টু কুমার। অপরজনের নাম গুড্ডু কুমার। 

স্বর্ণ ঋণদানকারী সংস্থার অফিসে ডাকাতি করতে এসে পুলিশকে লক্ষ করে গুলি চালিয়ে পালানোর সময় ধরা পরেছিল বিহারের ডাকাত দলটি । এদিন চুঁচুড়া আদালতের প্রথম ফার্স্টট্র্যাক কোর্টের বিচারক শিবশঙ্কর ঘোষ অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করেন।আগামী কাল হবে সাজা ঘোষণা।

২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর চন্দননগরের লক্ষ্মীগঞ্জ বাজারে বেসরকারী স্বর্ণ ঋণদানকারী সংস্থায় ডাকাতি হয়।ডাকাতির খবর পেয়ে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ ও গোয়েন্দারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।ঘিরে ফেলে গোটা এলাকা।ডাকাত দল সোনা নিয়ে পালাতে গিয়ে পুলিশের নাকাবন্দীর মুখে পড়ে।

পুলিশের অভিযোগ, তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে ডাকাতরা। পুলিশও পাল্টা জবাব দেয়।চন্দননগর থেকে দুই দুষ্কৃতিকে অস্ত্র সহ গ্রেফতার করা হয়।নাকা চেকিং শুরু হয় বিভিন্ন জায়গায়। 

তল্লাশি চলাকালীন চুঁচুড়া তুলোপট্টি ঘাটের কাছে এক দুষ্কৃতিকে পালানোর সময় ধরে ফেলে চুঁচুড়া থানার পুলিশ। সেখানেও গুলি চলে। ১ দুষ্কৃতি ধরা পড়লেও অপরজন পালিয়ে যায়। পুলিশ এখনও তার খোঁজ পায়নি। 

এই মামলার সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় এদিন কৃষ্ণনগর আদালতে থাকায় ভিডিও কনফারেন্সে শুনানিতে অংশ নেন। এই শুনানিকে ঘিরে গোটা আদালত চত্ত্বর নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়। 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়,বিট্টু কুমার ওরফে করণ,গুড্ডু কুমার ওরফে ধর্মেন্দ্র এবং বিট্টু কুমার ওরফে ছোট্টু বিহারের সোনপুর সেখপুরা ও বৈশালী জেলার বাসিন্দা।প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজ্যে ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে।মূলত স্বর্ণ ঋণ সংস্থায় ডাকাতি করত এই গ্যাং।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বিদেশী কায়দায় ডাকাতির সময়ে পোর্টেবেল জ্যামার ও রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন ডিটেক্টর ব্যবহার করেছিল দোষীরা। এরফলে বৈদ্যুতিন যোগাযোগ ব্যবস্থা অকেজো হয়ে পড়ে। 

দুষ্কৃতি দলটি চন্দননগরে ডাকাতির আগে সিঙ্গুরে ঘর ভাড়া নিয়ে ছিল।চন্দননগরে রেইকি করে একাধিক বার।

এই মামলার তদন্তকারী অফিসার ছিলেন অতনু মাঝি।জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডাকাত ধরে ছিলেন তিনি। জ্যামার ব্যবহার করায় ঘটনার সময় যোগাযোগে সমস্যা হয় পুলিশের। একটি পুলিশ দলের সঙ্গে অপর দলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। কিন্তু তারপরেও ডাকাত ধরতে সক্ষম হয় পুলিশ। 

তদন্তে নেমে পুলিশ ডাকাত দল যেখানে ভাড়া ছিল, সিঙ্গুরের সেই ঘর থেকে একটি ডায়েরি উদ্ধার করে। তাতে অনেক তথ্য মেলে। তথ্য হাতিয়ার করেই ধৃতদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়। 

 

Comments :0

Login to leave a comment