Uttar Pradesh Amroha Accident

উত্তর প্রদেশে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু বেলঘড়িয়ার চিকিৎসক পড়ুয়া সহ চার ছাত্রের

জাতীয় রাজ্য

উত্তর প্রদেশের আমরোহা জেলায় মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় চার চিকিৎসক পড়ুয়ার মৃত্যু। তাদের মধ্যে একজন এই রাজ্যের বাসিন্দা। বুধবার গভীর রাতে একটি দ্রুতগতির গাড়ি হাইওয়ের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ডিসিএম-কে ধাক্কা দেয়। গাড়িতে থাকা শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার পড়ুয়া ছাত্রর মৃত্যু হয়। জানা গেছে চারজনের মধ্যে একজন ছাত্র দিল্লির এবং অন্যজন ত্রিপুরার বাসিন্দা। সকলেই এমবিবিএস ছাত্র ছিলেন। রজবপুর থানা এলাকার আত্রাসির দিকে যাওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। রাস্তায় একটি ডিসিএম পার্ক করা ছিল। সেই সময় গজরাউলা থেকে আসা দিল্লি রেজিস্ট্রেশন নম্বরের একটি সুইফট ডিজায়ার গাড়ি ডিসিএম-কে ধাক্কা দেয়। দুর্ঘটনাটি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে গাড়িটি সম্পূর্ণরূপে দুমড়েমুচড়ে যায়। বিকট আওয়াজের পর ঘটনাস্থলে ভিড় জমে যায়। যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং ডিসিএম-এ আটকে থাকা গাড়িটিকে একটি ট্র্যাক্টরের দ্বারা বের করে আনা হয়। গাড়িতে থাকা চার ছাত্র গুরুতরভাবে আটকা পড়ে। পুলিশ ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িটি কেটে, ছাত্রদের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয় পুলিশ। ঘাতক চালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। নগর পুলিশ সুপার অভিষেক যাদবও দুর্ঘটনাস্থলে যান।


শোকাহত অর্ণবের বাবা অরুন চক্রবর্তী। ছবি অভিজিৎ বোস।

খবর পেয়ে শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-চ্যান্সেলর রাজীব ত্যাগীও ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তদন্তে পুলিশ দিল্লির দ্বারকার সেক্টর ১৬’র বাসিন্দা মহেশ শর্মার ছেলে আয়ুষ শর্মা নামে একজন ছাত্রকে শনাক্ত করে।
দ্বিতীয় ছাত্রটির নাম সপ্ত ঋষি দাস, তিনি ত্রিপুরার অর্থলা এলাকার রামনগরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুশান্ত শেখর দাসের ছেলে। নিহতদের মধ্যে তৃতীয় ছাত্রটির নাম অর্ণব চক্রবর্তী তিনি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার জেলার বেলঘড়িয়ার পূব পাড়ার বাসিন্দা।‌ চতুর্থ ছাত্রটির নাম শ্রেষ্ঠা পাঞ্চোলি।
মৃত সব ছাত্রই এমবিবিএস পড়াশোনা শেষ করে ইন্টার্নশিপ করছিলেন। তাঁরা ২০২০ ব্যাচের এমবিবিএস ছাত্র ছিল। পুলিশ সুপার অমিত কুমার আনন্দ জানিয়েছেন যে, নিহত চার ছাত্রের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। একটি মামলা দাখিল করা হবে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটানার খবর পেয়ে অর্ণবের পরিবার এবং এলাকার সবাই বাকরুদ্ধ। শোকাছন্ন গোটা পূব পাড়া। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, জুন মাসে অর্ণবের কোর্স শেষ হওয়ার কথা ছিল। তাই ধীরে ধীরে সমস্ত বই পত্র ফেরৎ পাঠিয়ে দিচ্ছিলেন। ছেলে বাড়ি ফিরে থাকবে বলে ঘর বানাছিলেন অর্নবের বাবা অরুন চক্রবর্তী। কিন্তু পথ দুর্ঘটনায় এইভাবে মারা যাবে তা কেউ ভেবে উঠতে পারছেন না।

Comments :0

Login to leave a comment